সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছে হাজারো ভ্রমণ পিপাসু। ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) ছুটিসহ টানা তিনদিনের অবকাশ কাটাতে পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে অনেকে ঘুরতে এসেছেন কুয়াকাটায়। গতকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শুঁটকি পল্লি, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লি, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের নোনা জলে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেছে তাদের। পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতুর কবলে ৬ ঘণ্টায় ঢাকা-কুয়াকাটা, বেকুটিয়া সেতুর সুফলে কুয়াকাটার সঙ্গে পিরোজপুর-বাগেরহাট-খুলনা ও মোংলাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দূরত্ব কমে আসা, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, চোরাবালু মুক্ত সৈকত ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধার জন্য ভ্রমণের জন্য এখন কুয়াকাটাকে বেছে নিচ্ছেন পর্যটকরা।
আবার অনেক পর্যটক আশা নিয়ে কুয়াকাটা আসলেও ফিরছেন নিরাশ হয়ে। অপরিচ্ছন্ন সৈকত, অনুন্নত অবকাঠামো, বিমান বন্দর না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে হতাশ তারা। শীতের শুরুতে পর্যটকের বাড়তি আনাগোনায় আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্টসহ ১৬টি পেশার শতশত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
খুলনা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক রেজবিন জাহান বলেন, পরিবার নিয়ে তিনদিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। খুলনা থেকে সবচেয়ে কাছের সুন্দর জায়গা কুয়াকাটা। তাই ভ্রমণের জন্য এটাকে বেছে নিয়েছি। তবে কুয়াকাটাকে যদি আর একটু পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষণ করা যেত তা হলে আমরা আরও একটু স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারতাম। সৈকতের মোহেব্বুল্লাহ নামের এক আচার দোকানি বলেন, টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। শীত মৌসুম শুরুতেই আমরা ভালো পর্যটক পেলাম। আশা করি সামনের পুরো মৌসুম জুড়ে ভালো বিক্রি করতে পারবো।হোটেল সি-লেভেলের পরিচালক মো. সজিব বলেন, আগেই আমাদের পুরো হোটেল বুকড হয়ে গেছে। এখনো অনেক ফোন আসছে কিন্তু রুম দিতে পারছি না। শনিবার পর্যন্ত শতভাগ রুমে পর্যটক রয়েছে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম জানান, অনেকদিন পর আজকে কুয়াকাটা অনেক পর্যটকদের ভিড়। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত এখন সৈকত। এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।