রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের ৩০টি কেন্দ্রে ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ২য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কলমাকান্দায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প জগন্নাথপুরে পলাতক আসামী গ্রেফতার-৫ চকরিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ ও মসজিদের বাথ রুমে মুসল্লীর লাশ সহ ৪ খুন : খুনিসহ আটক ৩ মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থাকায় সংবাদ সম্মেলন পাঁচবিবিতে ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ ফটিকছড়িতে আকষ্মিক সফরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সদরপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গলাচিপায় তারুণ্যে উৎসবে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ আমাদের মূল সংগ্রাম একনায়কতন্ত্র উৎখাত করা : সাক্ষাৎকারে কেএনডিএফ নেতা

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রচারে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সমৃদ্ধির প্রচারে বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই মূল্যবোধ কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার কথা বলে থাকে। সোমবার (০৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন- বিওবিসি’ এর তৃতীয় এবং শেষ দিনে ‘ডিফাইনিং কম্পিটিশন ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক’ শীর্ষক প্লেনারি সেশনে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস এমন মন্তব্য করেছেন। সিজিএস এর নির্বাহী পরিচালক এবং বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন এর চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান উক্ত সেশন সঞ্চালনা করেন। পিটার হাস বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল কোনো দেশকে বিভিন্ন দেশের মধ্যে কোনোটিকে বেছে নেয়ানোর উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়নি। কৌশলটির অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, প্রতিটি দেশই যেনো চাপ বা জবরদস্তি ছাড়াই নিজস্ব পথ বেছে নিতে সক্ষম হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলপত্রে পাঁচটি মূল উপাদান রয়েছে যা এই অঞ্চলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্পৃক্ততার পথ নির্দেশ করবে।যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও উন্মুক্ত, আন্তঃসংযুক্ত, সমৃদ্ধশালী, নিরাপদ, ঝুঁকি-সহিষ্ণু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্বপ্ন দেখে। চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করতে পারে। স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে মার্কিন দূত মানবাধিকার এবং সংলাপের উপর জোর দেন।
ঢাকায় বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য ইন্দো-প্যাসিফিকে মূল্যবোধ কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার উপর জোর দেয়। অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সহ অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করতে চায়। বাংলাদেশ শুরু থেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্তরিকভাবে আশ্রয় দিয়েছে বলেও প্রশংসা করেন বৃটিশ হাইকমিশনার। ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বলেন, কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের মতো বিষয়গুলোও রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। ক্ষুদ্রঋণ, নারীর ক্ষমতায়নেরও প্রশংসা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর বলেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক মানে নিজের বাড়ি। এক্ষেত্রে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলাপ করার ভালো মাধ্যম হলো বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন। রোহিঙ্গা সংকটের চূড়ান্ত সমাধান হলো প্রত্যাবাসন বলেও মন্তব্য করেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার।
উল্লেখ্য, গত বছর প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটি সিজিএস আয়োজিত- ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’ শীর্ষক দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত ছিলেন। মোট প্রতিনিধির সংখ্যা ছিল ৬ শতাধিক। তিন দিনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আলোচ্য বিষয় ছিল ইন্দো-প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূ-রাজনীতি। এই সম্মেলনের লক্ষ্য বে অব বেঙ্গল অঞ্চলের দ্রুত বিকাশমান পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জানা-বোঝা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। পাশাপাশি এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে ইউএস এআইডি, ইউকে এইড, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন এবং জার্মান দূতাবাস।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com