বিরোধী নেতাদের সাজা ও আটক করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুরনো প্র্যাকটিস এটা। এটা স্বৈরাচারী শাসকদের পুরনো প্র্যাকটিস। আবার ছেড়ে দিতে হয়। জোর করে অনেক কিছু করা যায়। তবে কোনো লাভ হয় না। গতকাল বুধবার সকালে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে যেভাবে গত রাতে বাসা থেকে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, এটাই প্রমাণ করে যে এখনো নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা হয়নি। তার আগেই বিরোধীদলীয় অ্যাক্টিভ নেতাকর্মীদের কিভাবে আটক করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাকে তো অন্যভাবে নেয়া যেত। সরকার ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনের আগে যেমন করেছিল। ঠিক এখনো সেটাই করে যাচ্ছে এক তরফা নির্বাচন করার জন্য। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার তাকে হত্যা করতে চায়। আওয়ামী লীগের কথাতে বোঝা যায়, তারা কত সন্ত্রাস। তাদের বডি কেমিস্ট্রিতে সন্ত্রাস আছে। চলমান যে আন্দোলন দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে, আমরা বিশ্বাস করি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনগণের রোষানলে শিকার হয়ে পদত্যাগে তারা বাধ্য হবে।
সামনের নির্বাচন নিয়ে আপনাদের ভাবনা কি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। আমরা বলছি, সরকারের পদত্যাগ করে তাদের সরতে হবে। সাংঘর্ষিক একটা অবস্থা তৈরি করে ১৪ ও ১৮ সালের মতো একটা ফাঁকা নির্বাচন করে তারা দেখাতে চায় নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এবার সেটা আর করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন- এর পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা কত বড় মিথ্যা কথা আপনারা ভালো করেই জানেন। আমরা বরাবরই বলে আসছি, একটা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে না। সেটা হলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়, তা ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে নয়। মহাসচিব বলেন, তিন দিনে এই দেশে সিদ্ধান্ত হয়। তিন দিনও লাগে না।