দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলিতে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরি শেষ, রং আর অলংকার দিয়ে প্রতিমাকে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এটা একটি বড় ধর্মীয় উৎসব। উপজেলায় ২১ ম-পে পূজার প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ, এখন চলছে ডেকোরেটরের কাজ। আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। হিলির ২১ পূজাম-প ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব মন্দিরে প্রতিমাগুলোকে কাঁদা লাগানোর কাজ শেষ করেছে প্রতিমা তৈরির কারিগররা। তাদের নিপুণ হাতে আপন মনে তৈরি করেছেন প্রতিটি প্রতিমা। আবার রঙয়ের কাজ শেষ করেছেন তারা। রঙ আর নানান পোশাকে সাজিয়ে, যেন প্রাণ ফিরে পেছে প্রতিমাগুলো। আবার ম-পে প্রতিমা বানানোর শেষে ডেকোরেটরেরর কাজ করছেন আলাদা শিল্পীরা। এক একজন প্রতিমা তৈরির কারিগররা কয়েকটি মন্দিরের কাজ হাতে নিয়েছেন। বর্তমান তাদের হাতে অনেক কাজ, তাই তাদের ব্যস্ততাও বেশি। কারিগর কনক চন্দ্র মহন্ত বলেন, আমরা মনের আনন্দে প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছি। এবার আমি ৪টি ম-পে প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছি। প্রতি ম-পে কাজের জন্য ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিচ্ছি। প্রতিটি ম-পে প্রায় কাঁদা এবং রংয়ের কাজ শেষ করেছি। ডেকোরেটর মিস্ত্রী প্রদীপ সুত্রধর বলেন, ‘প্রতিমাতে কাঁদা লাগানোর কাজ শেষ। আমরা ডেকোরেটরের কাজ শুরু করছি। এবার আমরা ৬ মন্দিরে ডেকোরেটরের কাজ হাতে নিয়েছি।’ হিলি পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সভাপতি সুমন মন্ডল বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় এবার ২১ ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হতে যাচ্ছে। আনন্দ মুখর পরিবেশে আমরা পূজা উৎসব পালন করবো। হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিয়া বলেন, উপজেলার প্রতিটি পূজাম-পে পুলিশ পোশাক এবং সাদা পোশাকে নজরদারি করছেন। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা উৎযাপনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকবে। বিভিন্ন ইউনিয়নের বিট পুলিশরা ঐ ইউনিয়নের ম-পেগুলোতে টহল দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার উপজেলার সকল পূজাম-পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং সরকারি বরাদ্দ তাদের দেওয়া হবে। পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ ম-পগুলোকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে।