সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়ার শিবগঞ্জে আলু বীজ বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট! কুড়িগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্তশিল্পের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাগ্য বদলে গেছে নারী উদ্যোক্তা রাজিয়ার তারাকান্দায় শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ চকরিয়ায় সামাজিক বনায়ন উদ্ধারে মানববন্ধন ও র‌্যালি বরিশাল বিভাগীয় সাংবাদিক পরিষদের ২০২৪ বিদায় উপলক্ষে সভা বীরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা বিএনপি সভাপতির মতবিনিময় সভা পাঁচবিবিতে কোয়েল পাখি পালনে হাসানের মাসে আয় লক্ষাধিক টাকা মোংলার মাটিতে কোন ফ্যাসিস্টদের ঠাঁই হবে না-সমন্বয়ক মোল্ল্যা রাহমাতুল্লাহ সিংড়ায় আমি মধ্যবিত্ত কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন মুক্তির ডাক ৭১: নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

মহাষ্টমীতে কুমারী পূজা

খবরপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী ছিল গতকাল রোববার। মহাষ্টমীতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো দুর্গাপূজার বিশেষ পর্ব ‘কুমারী পূজা’। রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থান এবং সারাদেশে গতকাল রোববার পূজাম-পগুলোতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সর্বকামনা সিদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণ কন্যাকে কুমারী হিসেবে পূজা করা হয় দেবী দুর্গার অঙ্গরূপে। দেবী দুর্গার কুমারী রূপের নাম ‘উমা’। সনাতন শাস্ত্রমতে, মাতৃভাবে কুমারীকন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগৎমাতার উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদনই কুমারী পূজা। এ পূজার মাধ্যমে নারী হয়ে উঠবে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। প্রত্যেকে নারীর প্রতি হবে শ্রদ্ধাশীল।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, কুমারী কন্যার পূজা একাধারে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা, মানবের বন্দনা আর পৃথিবীতে নারীর মর্যাদার প্রতিষ্ঠা। নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর সৃষ্টিকর্তার আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা।
শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন রোববার রাজধানীসহ সারাদেশে পূজামণ্ডপগুলোতে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পূজা-অর্চনা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। গতকাল শনিবার ছিল মহাসপ্তমী। ওইদিন ভক্তরা দেবীর দিনভর পূজাম-পগুলোতে আনন্দে মাতে। ১৬টি উপকরণ দিয়ে মহাষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস—এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মায়ের পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হবে পুষ্পমাল্য। কুমারী পূজা শেষে ভক্তরা মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।
জানা যায়, ১৯০১ সালে ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার মাধ্যমে এর প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে। শাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৬ বছরের সুলক্ষণা কুমারীকে পূজা করা হয়। কুমারী পূজা ছাড়াও মহাষ্টমীতে রাজধানীর শাঁখারী বাজার, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালী মন্দিরসহ সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে বেলা একটা থেকে দিনভর ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। মন্দির ও মণ্ডপগুলোতেও পূজা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জানা গেছে, রোববার সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দেবীর মহা অষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা শুরু হয়। অষ্টমীর মূল আয়োজন কুমারী পূজা এবং সন্ধিপূজা। বেলা ১১টায় গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মাঠে হবে কুমারী পূজা। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হবে সন্ধিপূজা। এদিকে আগামী মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব। এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় মণ্ডপ ২৪৬টি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com