বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় বরিশাল সহ জেলার ১০ উপজেলায় ৫৪১ টি আশ্রয় কেন্দ্র পুস্তুত রাখা সহ পাশাপাশি ৬১ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক ৩২২ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে, অসহায় দুর্গতদের তাৎক্ষণিক খাদ্য সরবরাহের জন্য ৭৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের মজুদ রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। মঙ্গলবার (২৪) অক্টোবর সকাল ১১ টায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক বরিশাল শহিদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা সহ জুমে সংযুক্ত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃন্দ, সহকারী কমিশনার ভূমি বৃন্দরা পিআইও বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। জরুরি সভায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ হামুন মোকাবিলায় জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় যেসকল সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সকল ধরনের সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সময়ে পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধ করন ঔষধ, মোমবাতি, ম্যাচ, খাবার স্যালাইন, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ঔষধ এর ব্যবস্থা রাখা। বরিশাল জেলায় ৫৪১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে সেখানে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বহুতল ভবন, অফিস সমূহ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জেলার সকল স্থানে মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার করতে হবে। প্রাণীসম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত গোখাদ্যর ব্যবস্থা রাখতে হবে। সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট সহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দূর্যোগ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুত রাখতে হবে। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে সল্পতায় সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। জেলা দূর্যোগপূর্ণ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসনের বিভিন্নস্থরের কর্মকর্তা, মহানগর পুলিশ প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি গণ।