সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন

হাজার কোটি টাকা ক্ষতি: সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের প্রভাব অন্য কৃষিপণ্যে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩

ফের সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এতে হুমকির মুখে পড়েছে সার্বিক কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্যের ঝুড়িতে সুগন্ধি চাল অন্যতম। চালের সঙ্গে বিদেশি ক্রেতারা অন্য উপকরণ কিনতেন। সরকারের এ সিদ্ধান্তে এমন যৌথ ক্রয়াদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে। যাতে হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান হবে বলে দাবি রপ্তানিকারকদের। রপ্তানিকারকরা বলছেন, ফের এ চাল রপ্তানি বন্ধের কারণে অন্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের পর গত বছরও সার্বিক কৃষিপণ্য রপ্তানি কমেছিল। এছাড়া বারবার বাংলাদেশ থেকে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করায় দেশীয় কোম্পানিগুলো রপ্তানি বাজার থেকে ছিটকে পড়ছে। ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ার কারণে লোকসানের মধ্যে পড়ছে তারা। পাশাপাশি বাংলাদেশের হাতে থাকা রপ্তানি বাজার চলে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের হাতে। বাংলাদেশ গত বছর থেকে মার্কিন ডলারের সংকটে রয়েছে। সুগন্ধি চাল রপ্তানির মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোম্পানিগুলোর হাতে থাকা বর্তমান ক্রয়াদেশগুলোও নিষেধাজ্ঞার কারণে বাতিল হচ্ছে, সে ডলারও ফেরত দিতে হবে এখন।
রপ্তানির অনুমতি নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা: বাংলাদেশ থেকে সব সময়ই চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ। তবে সরকারের অনুমতি নিয়ে শুধু সুগন্ধি চাল রপ্তানির করা যায়। কিন্তু এ অনুমতি নিয়ে চলে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। সরকার থেকে যখন রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়, এরপর পণ্য রপ্তানিযোগ্য করতে করতেই আবার রপ্তানি নিষিদ্ধ হয়। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো রপ্তানিকারক অনুমতি পেলেও তিনবছরে একটি চালান পাঠাতে পারেননি।
২০২১ সালের জুলাইয়ে ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি বন্ধও করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রপ্তানি হয় ৬ হাজার ৭৫৬ টন সুগন্ধি চাল। ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর গত ৩০ জুলাই আবার সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। আগে অনুমোদন পাওয়া ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১৮ হাজার ২৪৪ টন সুগন্ধি চাল তারা ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে রপ্তানি করতে পারবে। এরপর তিন মাস না যেতেই আবারও চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। অর্থাৎ, তিন বছর আগের অনুমতির চাল এবছরও পাঠানো গেলো না।
সুগন্ধি চালের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্রেতা কৃষি প্রক্রিয়াজাত অন্য পণ্যেরও ক্রয়াদেশ দেন। সুগন্ধি চালের কারণে আরও যত পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হবে বা আটকে রয়েছে সার্বিক বিবেচনায় নিলে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ। চালের সঙ্গে বিদেশি ক্রেতারা অন্য উপকরণও কিনতেন, এখন এমন যৌথ ক্রয়াদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে. যা হাজার কোটি টাকার বেশি।- বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক

এবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সব ধরনের চালের সঙ্গে সুগন্ধি চালেরও রপ্তানি নিষিদ্ধ করে সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আটকেছে ৩৩ কোম্পানির ২১ হাজার টন চাল: জুলাইয়ে সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ আবার উন্মুক্ত করার পরে নতুন করে আরও কিছু চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। এতে রপ্তানিযোগ্য চালের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৪১৬ টন। এর মধ্যে চলতি মাস (অক্টোবর) পর্যন্ত রপ্তানি সম্ভব হয়েছে ৩ হাজার ২৪৪ টন। এর মধ্যেই সুগন্ধি চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করলো সরকার। এতে ফের আটকা পড়েছে অনুমতি থাকা ২১ হাজার ১৭২ টন রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল। গত বছরও বন্ধ ছিল। অনেক সময় রপ্তানির জন্য বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। আমরা মাঝে মধ্যে মজুত ও উৎপাদনের ভিত্তিতে রিভিউ করি। সামনে চাল উৎপাদনের মৌসুম। পরিস্থিতি দেখে রপ্তানিকারকদের সমস্যা সমাধানে রিভিউ করা হতে পারে।- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আবদুর রহিম খান
স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ২ হাজার ৩৫০ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ২৩৭ টন চাল রপ্তানি সম্পন্ন করতে পেরেছে নিষিদ্ধের আগে। এছাড়া ৭০০ টন চাল তারা জাহাজীকরণের জন্য প্রস্তুত রেখেছিল। যা আটকা পড়েছে। জানতে চাইলে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) পারভেজ সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ থাকার পরে কয়েকমাসের জন্য খুলে আবারও বন্ধ করা হলো। এ পরিস্থিতিতে আমাদের পাইপলাইনে থাকা ক্রয়াদেশের চালগুলো কী হবে আমি জানি না।’ তিনি বলেন, ‘এ চাল রপ্তানি না করতে পেরে গত বছর আমাদের প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন সুগন্ধি চালের সঙ্গে অন্য পণ্যের যে যৌথ শিপমেন্টগুলো রয়েছে, সেগুলোও আটকে গেছে। স্কয়ারের প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষিপণ্যের অর্ডারের মধ্যে চাল থাকে। এমন এক মিলিয়ন ডলারের অর্ডার এখন অনিশ্চিত।’
ফেরত যাবে ডলার, লোকসান হাজার কোটি টাকার বেশি: যখন দেশে ডলার সংকট প্রকট, তখন চাল রপ্তানি না করতে পেরে ফেরত দিতে হবে আগাম ক্রয়াদেশের ডলার। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমান এক কেজি সুগন্ধি চাল রপ্তানি হচ্ছে মানভেদে এক ডলার ২০ সেন্ট থেকে এক ডলার ৬০ সেন্ট পর্যন্ত। আগামী ঈদের বাজার ধরতে চাল রপ্তানি করলে প্রতি কেজির দাম দুই ডলারের কাছাকাছিও পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, যে ২১ হাজার টন চাল রপ্তানি অনিশ্চয়তায় পড়েছে তাতে দেশে আড়াই থেকে সোয়া চার কোটি ডলার উপার্জন থেকে বঞ্চিত হবে। বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ইকতাদুল হক বলেন, ‘যেখানে আমরা ডলার সংকটে ভুগছি সেখানে চাল রপ্তানি বন্ধ দুঃখজনক। এখন কোম্পানিগুলোকে ক্রয়াদেশের অর্থ ফেরত দিতে হবে। অথচ সুগন্ধি চাল রপ্তানি চালু রেখে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল।’

বহু কষ্ট করে আমরা এ চিনিগুঁড়া চাল বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ডিং করে সফল হয়েছিলাম। কিন্তু বারবার এমন রপ্তানি বন্ধে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ বাজার হারিয়ে ফেলছি।- প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইলিয়াস মৃধা তিনি বলেন, ‘সুগন্ধি চালের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্রেতা কৃষি প্রক্রিয়াজাত অন্য পণ্যেরও ক্রয়াদেশ দেন। সুগন্ধি চালের কারণে আরও যত পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিল হবে বা আটকে রয়েছে সার্বিক বিবেচনায় নিলে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েকগুণ। চালের সঙ্গে বিদেশি ক্রেতারা অন্য উপকরণও কিনতেন, এখন এমন যৌথ ক্রয়াদেশগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছে। যা হাজার কোটি টাকার বেশি।’
ইকতাদুল হক বলেন, ‘এছাড়া যেসব বিদেশি ক্রেতা সুগন্ধি চালের ক্রয়াদেশ দিয়েছে তাদের পণ্য পাঠাতে না পারলে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হবে। এতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।’
এসব বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আবদুর রহিম খান বলেন, ‘খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। সেজন্য আমরা আর অনুমতি দিচ্ছি না। আগে যেগুলো দেওয়া ছিল সেগুলোর মেয়াদ বাড়াচ্ছি না। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট ইস্যুও বন্ধ হয়ে গেছে। এ পুরো সিদ্ধান্তে চালের দামে কোনো নেতিবাচক প্রভাব যেন না পড়ে সেজন্য নেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘এটি আগেও হয়েছে। গত বছরও বন্ধ ছিল। অনেক সময় রপ্তানির জন্য বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া। তবে এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। আমরা মাঝে মধ্যে মজুত ও উৎপাদনের ভিত্তিতে রিভিউ করি। সামনে চাল উৎপাদনের মৌসুম। পরিস্থিতি দেখে রপ্তানিকারকদের সমস্যা সমাধানে রিভিউ করা হতে পারে।’
রপ্তানি বাজার যেমন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে গড়ে সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয় ১৮–২০ লাখ টন। আর প্রতিবছর গড়ে রপ্তানি হয় ১০ হাজার টন। অর্থাৎ, উৎপাদনের সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি করা হয়। যেখানে প্রতি বছর তিন লাখ টন সুগন্ধি চাল উদ্বৃত্ত থাকে। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশ সুগন্ধি চাল রপ্তানি শুরু করে। প্রথম বছর ৬৬৩ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়। পরের বছরগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ বাড়তে বাড়তে রপ্তানি বন্ধের আগে ১০ হাজার ৮৭৯ টনে উন্নীত হয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮৬ লাখ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৫ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয়েছে।
সুগন্ধি চালের বড় রপ্তানিকারক প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইলিয়াস মৃধা বলেন, ‘বহু কষ্ট করে আমরা এ চিনিগুঁড়া চাল বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ডিং করে সফল হয়েছিলাম। কিন্তু বারবার এমন রপ্তানি বন্ধে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ বাজার হারিয়ে ফেলছি।’ তিনি বলেন, ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি সুগন্ধি চালের ভালো বাজার তৈরি হয়েছে। সুগন্ধি চাল রপ্তানির মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তাও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই রপ্তানিকারকরা এ সুগন্ধি চালের বাজার খুলে দেওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে বারবার তাগাদা দিয়ে আসছে।’
এসব বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি অনুবিভাগ) রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, ‘সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ হলে সেটা সার্বিক কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রভাব ফেলে সেটা সত্য। তবে এ সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছে। এটা তাদের বিষয়।’
সার্বিক রপ্তানিতে প্রভাব: বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, শেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানি আয় এসেছে ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম। কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাজারে দেশের যে সব পণ্যের চাহিদা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো সুগন্ধি চাল। অথচ বিদায়ী অর্থবছরের পুরোটা সময় এই পণ্যের রপ্তানি বন্ধ থাকায় সবজি, ফল, শুকনো খাবার, চাল এবং মসলাসহ কাঁচা ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের রপ্তানি ব্যাপকহারে কমে গেছে। রপ্তানিকারকরা বলছেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৯০ লাখ ডলার আয় হয়েছিল শুধু সুগন্ধি চাল রপ্তানির মাধ্যমে।
বাজার দখলে নেবে ভারত-পাকিস্তান: সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে সুগন্ধি চাল রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে। ঠিক একই বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে ৮০ লাখ টন সুগন্ধি চালের চাহিদা রয়েছে। যার অর্ধেকের বেশি রপ্তানি করে ভারত, যা প্রায় ৪৫ লাখ টন। বাংলাদেশ করে ১০ লাখ টন এবং এরপর ৬ লাখ টন করে পাকিস্তান। স্কয়ারের পারভেজ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বাজার প্রতিবেশী দেশ নিয়ে যাচ্ছে। কয়েক মাস আগেও ভারত যখন তাদের দেশ থেকে চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, তখন তারা সুগন্ধি চাল এর বাইরে রেখেছে। একই প্রেক্ষাপটে আমরা চাল রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে সুগন্ধি চালকে জুড়ে দিয়েছি, যা উৎপাদিত সুগন্ধি চালের মাত্র ২ শতাংশের কম। সব ধরনের চালের মধ্যে দশমিক কয়েক শতাংশও হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ঝুড়িতে সুগন্ধি চাল একটা বড় প্রোডাক্ট, এটা বন্ধ থাকায় তার একটা প্রভাব রপ্তানি আয়ে পড়েছে। গত কয়েক বছর কৃষিপণ্যের রপ্তানি বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক থেকে ছিটকে পড়েছে।’- জাগো নিউজ




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com