কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সংঘর্ষে নিহত ২, সিলেটে ১
প্রায় আট বছর পর বিএনপি’র ডাকা টানা দিন ছিল গত মঙ্গলবারে বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দুই ও সিলেটে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং বগুড়ায় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে, গতকাল সকাল থেকে ঢাকার রাস্তায় প্রায় সব ধরনের গাড়ির সংখ্যা কম লক্ষ্য করা গেছে। দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি গাবতলী থেকে। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদদাতারা, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকায় যানবাহনের সংখ্যা খুব একটা দেখা যায়নি, ছিল না যানজটও।
অবরোধের ১ম দিন পালিত হলো চলেনি দূর পাল্লার বাস,ট্রাক,লঞ্চ। রেল যোগাযোগও স্বাভাবিক ছিল না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। তবে পুলিশ এখনো তা স্বীকার করেনি। সংঘর্ষে বিএনপির কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী ও ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছয়সূতী ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৪০) ও ইউনিয়নের যুবদল সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ তনয় (২৩) নিহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। এছাড়া সিলেটর গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিলুর আহমেদকে পুলিশ লালাবাজার থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে নিহত রেফায়েত উল্লাহ তনয়ের চাচা মো: আবুল কালাম (৫৬) ও ভগ্নিপতি ফয়সাল মিয়া (৩০) বলেন, রেফায়েত উল্লাহ তনয় ছয়সূতী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষের সময় গুলিতে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। ঘটনার পর একদল দুর্বৃত্ত ছয়সূতী কাঁঠালতলী এলাকায় ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে একটি ওষুধের পিকাপভ্যান ভাঙচুর করে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় তিনিসহ থানার কর্তব্যরত এএসআই মান্নান, এএসআই সাকিনুর, এএসআই জুয়েল সহ কমপক্ষে ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নিহত আহতের বিষয় নিয়ে অবগত নই। হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নেয়ার পর সঠিক তথ্য দেয়া যাবে। বর্তমানে বাজিতপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিত কুমার ঘোষ পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে মোতায়েন আছে।
বন্দরে ২ পিকআপ ভ্যানে আগুন: বিএনপি ও কয়েকটি দলের ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির শুরুতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুরের দেওয়ানবাগ গেট এলাকায় যানবাহন ভাঙচুর ও দু’টি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে বন্দর স্টিল সংলগ্ন মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হঠাৎ একদল যুবক এসে মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনে ইটপাটকেল ছুড়ে ও ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় দু’টি পিকআপ ভ্যানে তারা আগুন দেয়। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর জানান, যে কেউ অগ্নিসন্ত্রাসের চেষ্টা করবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, বিএনপির কেউ আগুন দেয়নি বা ভাঙচুর করেনি। এটি আওয়ামী লীগের কাজ। তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে মামলা দায়ের করবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে। আড়াইহাজারে আ’লীগ-বিএনপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, ৩ পুলিশসহ আহত ২০: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় দুটি বাসও ভাঙচুর করা হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে। একই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় এ সংঘর্ষ চলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ও মিছিল করে। এ সময় বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় একটি বিআরটিসি বাসসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে টিয়ারশেল ও রবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবরোধ করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। সড়কে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আমির খশরু জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মানিকগঞ্জে অবরোধের প্রথম দিনেই বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, পুলিশের গোলাগুলি: মানিকগঞ্জে অবরোধের প্রথম দিনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি, বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত, পাঁচজন গ্রেফতার ও বিএনপির হরতাল চলাকালে যানবাহন পোড়ানোর অভিযোগে পৃথক থানায় চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহসহ ৩৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর এই মামলাগুলোতে বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার অবরোধের প্রথম দিন বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজনের নামে আলাদা কোনো মামলা হয়েছে নাকি আগের মামলায়ই তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে বিষয়টি নিয়ে সদর থানার ওসিকে বারবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নাই।
অন্যদিকে, মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানিয়েছেন, মানিকগঞ্জে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা-আরিচা, মানিকগঞ্জ-সিংগাইর মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ও শহরে র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিনে আজ মানিকগঞ্জে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা শহরের সেওতা থেকে জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মানরা এলাকা দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উঠতে গেলে পুলিশ ধাওয়া করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরিফ হোসেন লিটন বলেন, পুলিশ গুলি চালিয়েছে এবং হামলা করেছে এতে বিএনপির ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ যাদু, জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি জামিল উদ্দিন আহম্মেদ মনির, জেলা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক লিটন ও পৌর যুবদল নেতা আরিফ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। হরতালের রাতে সদর, ঘিওর ও সিংগাইর থানায় চারটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ যে সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে তারা হলেন ঘিওর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানে আলম, নালী ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকার সম্পাদক রাজা মিয়া, সদর থানা বিএনপির কর্মী খলিল মিয়া ও রানা মিয়া, সিংগাইর থানা বিএনপির কর্মী নাজমুল হোসেন ও মো: সালাউদ্দিন।
সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৯ অক্টোবর) হরতালের দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সদর উপজেলার তরা এলাকায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবিরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৩ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: জুয়েল রানা। এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। সদর থানা পুলিশ দেয়া তথ্যে জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান ও তার রাজনৈতিক সহকর্মী কাইয়ুম খানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানড়া এলাকায় তাকে মারধর করে তার রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় জুলফিকার বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের ২৩ নেতার নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘হরতালে গাড়ি পোড়ানো এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ভীতি তৈরি ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে দু’টি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
অন্যদিকে, ঘিওর থানার পুলিশের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ-ঝিটকা সড়কের ঘিওর উপজেলার উভাজানি এলাকায় মানিকগঞ্জগামী সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাত্রী নামিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ভীতি তৈরি করা হয়। এ ঘটনায় যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও জনমনে ভীতি তৈরির অভিযোগে ঘিওর থানার উপ-পরিচালক (এসআই) আবদুল কাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় ২০ জন বিএনপির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে, সিঙ্গাইর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দল এলাকায় সিঙ্গাইর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমানকে মারধর করে তার মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৪৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এসব মামলার বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, বিএনপি নাশকতা ,সহিংসতারও যড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতেই এসব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ কবীর বলেন, আমরা সকালে পঞ্চিম সেওতা এলাকা থেকে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে এগুতে থাকলে পুলিশ বিনা উসকানিতে সর্ম্পূন ঠা-া মাথায় মিছিলে হামলা করে এবং গুলি করে এতে তিন থেকে চারজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে এ মূর্হূতে তাদের নাম ঠিকানা বলতে পারছি না কারণ আমি নিজেও আহত।