স্মার্টফোনের জগতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ফোন হচ্ছে আইফোন। স্মার্টফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপলের আইফোন সারাবিশ্বে এক আলাদা উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। আইফোনপ্রেমীরা অপেক্ষায় থাকেন নতুন আইফোনের জন্য। ‘কিডনি বিক্রি করে হলে আইফোন কিন তে হবে’। এমন নানান ট্রলও হয়েছে আইফোন নিয়ে। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার মৃত্যু হলে আপনার আইফোনের মালিক কে হবেন। উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মোবাইল ফোনের নিরাপত্তা বাড়াতে চাইছে নির্মাতা সংস্থাগুলো। আগে মোবাইল ফোন শুধু প্যাটার্ন এবং পিন দিয়ে আনলক করা যেত। এখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক পদ্ধতি রয়েছে। এখন মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যমে নয়। বরং ব্যবহারকারীর জীবনের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষিত থাকে মোবাইল ফোনে। ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্যাংকের তথ্যও পাওয়া যায় আইফোনে। খুব গুরুত্বপূর্ণ এই ডিভাইসটি তাই হাতছাড়া হলেই বিপদে পড়তে পারেন। তবে এর অন্য একটা দিকও রয়েছে। ভার্চুয়াল কোনো অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর উদ্ধার করা যতখানি কষ্টসাধ্য, ততখানি কষ্টসাধ্য মোবাইল আনলক করা। বিশেষ করে আইফোন আনলক করা খুবই কঠিন। অ্যাপল নিজেই জানিয়েছে এর সমাধান।
অ্যাপল জানিয়েছে, তারা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য হস্তান্তরের একটি উপায় তৈরি করছে। আইওএস ১৫.২, আইপ্যাডওএস ১৫.২ এবং ম্যাকওএস ১২.১ বা তার উপরের যে কোনো অ্যাপল ডিভাইসে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীরা অ্যাপল আইডিতে একটি ‘লিগ্যাসি কন্ট্যাক্ট’ যোগ করার অপশন পাবেন। লিগ্যাসি কন্ট্যাক্ট নিরাপদ উপায়। কোনো অ্যাপল ব্যবহারকারী চাইলে তার কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে এই অধিকার দিতে পারেন, যাতে তিনি তার অ্যাপল অ্যাকাউন্টের ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারেন। তবে এটি শুধু ব্যবহারকারীর মৃত্যুর পরই ব্যবহার করা যাবে। তার মৃত্যুর পর ডেটা হস্তান্তরের জন্য অ্যাপলকে অনুরোধ করতে হবে, সেই সময় মৃত্যুর সনদপত্র এবং অন্য নথি জমা দিতে হবে।
যেভাবে আপনার আইফোনে লিগ্যাসি কন্ট্যাক্ট যোগ করবেন দেখে নিন- >> প্রথমে আপনার আইফোন, আইপ্যাডের সেটিংসে গিয়ে নিজের নামের উপর আলতো চাপ দিন। >> সাইন ইন অ্যান্ড সিকিউরিটি অপশনে ক্লিক করে লিগ্যাসি কন্ট্যাক্টে যেতে হবে। >> সেখান থেকে অ্যাড লিগ্যাসি কন্ট্যাক্টে যেতে হবে। এখানে ব্যবহারকারীর ফেসআইডি, টাচআইডি বা ডিভাইস পাসকোড যাচাই করতে হবে।