নেপালের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে ১৫০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে আরো শতাধিক। গতকাল শনিবার কর্মকর্তারা বলেছেন, উদ্ধার অভিযানে সহায়তার লক্ষ্যে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভূমিকম্পটি শুক্রবার গভীর রাতে হিমালয়ের দেশটির সুদূর পশ্চিমে আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের পরিমাপে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে স্থানীয়দের ধসে পড়া বাড়ি ও ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনকে বের করে আনতে অন্ধকারে ধ্বংসস্তুপের মধ্য দিয়ে খনন করতে হচ্ছে।
জরুরি যানবাহনের সাইরেন বেজে উঠলে জীবিত ব্যক্তিরা নিরাপত্তার জন্য বাইরে এসে ভিড় করে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরবর্তী জুমলার ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি পর্যন্ত অনুভূত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই বলেছেন, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটি জেলা। এগুলো হলো- জাজারকোট ও রুকুম। জাতীয় পুলিশের মুখপাত্র কুবের কাথায়াত বলেন, কর্তৃপক্ষ উভয় জেলা জুড়ে শতাধিক আহত হয়েছে।
কর্নালি প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র গোপাল চন্দ্র ভট্টরাই এএফপিকে বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানার কারণে প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন।’
তবে তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য ব্যাপকভাবে নেপালি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমরা বিকল্প পথ দিয়ে এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’ এদিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্ড ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এর আগে ২০১৫ সালে দুটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প নেপালে আঘাত হানে। এতে অন্তত ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরো ২২ হাজার ৩০৯ জন। সে দুটি ভূমিকম্পের প্রথমটি আঘাত হানে সে বছরের ২৫ এপ্রিল। ৭.৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পেই বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। পরেরটি কম্পনটি হয় মে মাসে। এর মাত্রা ছিল ৭.৩। সূত্র : এএফপি, বিবিসি