শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:০৭ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জে জার্মান প্রবাসী দম্পত্তির উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ

বদরুল আলম দুলাল (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে জার্মান প্রবাসী দম্পতির উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে।শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে মিডিয়া হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে প্রবাসী ওই দম্পতি।ভুক্তভোগী রেজাউল হক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে তার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর মনির হোসেন মিয়ার সাথে বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে। আমি ও আমার স্ত্রী জাবিনা মিয়া মামলায় হাজিরা দিতে চলতি অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে এসেছি। সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার অপুর বাবা ও আমার বাবা মামাতো ফুপাতো ভাই। সেই সূত্রে অপু আমার চাচাতো ভাই। মামলার বিষয়টি মিমাংসার জন্য আজ কবির বিন আনোয়ার অপুর আমারা মুগবেলাই গ্রামের বাড়িতে আসার কথা ছিল। আমার স্ত্রী তাদের জন্য নাশতার ব্যবস্থাও করেন। দুপুর ১২টার দিকে কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে মোটর সাইকেলযোগে শতাধিক মানুষ আমার বাড়িতে আসে। অপু সাহেব দ্বিতীয় তলার গোলঘরে গিয়ে বসেন। তবে তার সাথে আসা লোকজন সরাসরি আমার উপর হামলা ও মারপিট করে। এক পর্যায়ে টেনে হিচড়ে আমাকে উপরে গোলঘরে অপুর কাছে নিয়ে যায়। এ সময় অপু আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মামলা তুলে নিতে ?হুমকি দেয়।তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। পুলিশের সামনেই এ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ না থাকলে আমাকে মেরে ফেলা হতো। পুলিশ আমাদের রক্ষার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।জার্মান নাগরিক জাবিনা মিয়া বলেন, আমার স্বামীকে মারধোর করা দেখে এগিয়ে আমি এগিয়ে যাই। এ সময় তারা আমাকেও মারপিট করে।ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান কবির শুভ বলেন, অনেক লোক সমাগম ছিল এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। আমি আমার সাধ্যমতো নিয়ন্ত্রণ করেছি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, উভয়েই আমার আত্মীয়, আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে গোলমাল। অনেকদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলছে। এর আগেও গোলমাল হয়েছে, শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছে। আমি ভাবছিলাম বসে মিমাংসা করি। ওনাকে বলে দাওয়াত নিয়ে ওনার বাড়িতে গেছি।উনি যে আচরণ করেছে। উনি ওনার স্ত্রী গালাগালি ঝগড়াঝাটি করেছে।আমি উপরে বাসার ভেতরে বসে ছিলাম। আমি জানিনা গ্রামবাসীর সঙ্গে ঝগড়া না কি হয়েছে। গিয়ে দেখলাম এমন অবস্থা নিজের মান সম্মান থাকে না পরে আমি চলে এসেছি। আমি মনে করি মারামারির কোন ঘটনা ঘটে নাই। আমি দেখেছি গ্রাম্য ঝগড়াঝাটি। ওই জার্মান মহিলা যে গালাগালি করেছে, উনি ছবি তোলার চেষ্টা করেছে, মানুষকে ধাক্কাধাক্কি করেছে। পরে বললাম আপনারা যা পারেন করেন, আমি এর মধ্যে নাই। তবে নিচে গন্ডগোলের বিষয় জানতে পেরে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর মনির হোসেন মিয়াকে দিয়ে বড় ভাই রেজাউল হক মিয়ার কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ানো হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com