অড্রে হেপবার্নের ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানি’ কিংবা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ‘ম্যালেফিসেন্ট’। ব্যতিক্রমী পোশাকের সঙ্গে মানানসই লিপস্টিকের ব্যবহার দুই অভিনেত্রীকে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। বিশেষ করে ম্যালেফিসেন্ট-এ দৈত্যের বেশেও জোলির লাল রঙের লিপস্টিক নজর কেড়েছিল। চলচ্চিত্রে বা সংশ্লিষ্ট উৎসবে হাজির হতে তারকাদের লিপস্টিক নিয়ে বাড়তি মনোযোগও দিতে দেখা যায়।
এ আলাপ বেশ পুরনো। এ লেখায় বরং লিপস্টিককেন্দ্রিক কয়েকটি সিনেমার সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।
হলিউডে ‘লিপস্টিক’ নামে সিনেমাটি নির্মিত হয় ১৯৭৬ সালে। লেমন্ট জনসনের পরিচালনায় এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন মার্গাক্স হেমিংওয়ে। থ্রিলার ঘরানার এ সিনেমায় এক শীর্ষ ফ্যাশন মডেল সংগীতের শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেন। তৎকালীন (১৯৭৬) পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ নিয়ে বেশ জোরালো বার্তা দিয়েছিল এ সিনেমা।
হাল আমলে আলোচনার জন্ম দেওয়া আরেক সিনেমা ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরখা’। ২০১৬ সালে নির্মিত সিনেমাটি মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)। তবে বিভিন্ন উৎসবে এর প্রদর্শন হয়েছে। অলঙ্কিতা শ্রীবাস্তবের পরিচালনায় এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রতœা পাঠক ও কঙ্কনা সেন শর্মা। রক্ষণশীল সমাজ থেকে স্বাধীন হওয়ার জন্য চার নারীর লড়াইয়ের গল্প বলা হয়েছে এ সিনেমায়।
দক্ষিণ ভারতে ‘লিপস্টিক মার্ডার’ নামে ২০২২ সালে একটি সিনেমা নির্মিত হয়েছে কন্নড় ভাষায়। এতে দেখানো হয়েছে একটি সিরিয়াল কিলার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেহভাজনের প্রেমে পড়েন পুলিশের পরিদর্শক। পরে দেখা যায়, সন্দেহভাজন নারীই ঘটনার মূলহোতা। রাজেশ মূর্তির পরিচালনায় সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আরিয়ান রাজ ও আলেখা।