মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত বদলে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য মাসুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে দোয়া ও আলোচনা সভা শেরপুরে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে ওয়ালটন গ্রুপ বাগেরহাটে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত ফুলপুরে বন্যার পানি কমছে ধীরে গতিতে ভাসছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র কুড়িগ্রামে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পিটিআই এর ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ ফটিকছড়িতে বাবা ভান্ডারীর খোশরোজ শরীফে লাখো ভক্তের ঢল ৫ গ্রামের জলাবদ্ধতা, মঠবাড়িয়ায় সুইসগেট নির্মাণের দাবীতে কৃষকদের মানববন্ধন মোংলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি প্রচারে ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম গঠিত

ফুলবাড়ীর অবহেলিত খেজুর গাছ এখন অর্থ আয়ের মাধ্যম

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

শীতরে আগমনরে সাথে সাথে গ্রাম-বাংলার ঐতহ্যি খজেুর রস সংগ্রহ ও রস থেকে গুড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমী গাছিরা। শীতের ভরা মৌসুমে রস সংগ্রহের জন্য শীতের আগমনের শুরু থেকেই খজেুর রস সংগ্রহরে মেতে উঠে তারা। বেড়েছে অযতেœ আবহেলায় পড়ে থাকা খেজুর গাছরে কদর। তেমনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রেল লাইনের দুই পাশে মালিক বিহীন হাজারো খেজুরের গাছ বর্তমানে অর্থ উপার্যনের মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, ফুলবাড়ী ও বিরামপুর উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকায় রেল লাইনের দুই পাশে থাকা মালিবিহীন হাজার হাজার খেজুরের গাছ। সেই গাছকে পরিচর্চা করে খেজুরের রস ও গুড় তৈরী করে লাভবান হচ্ছেন রাজশাহী থেকে আসা গাছিরা। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে শীত শুরু হওয়ার এক মাসে পূর্বেই এই এলাকায় আসেন গাছিরা। তারা ফাঁকা নির্জন জায়গায় বসবাসের মতো একটি ঘর নির্মান করে সেখানে থেকে রেলের মালিক বিহীন খেজুর গাছ গুলো পরিচর্চা শুরু করেন। বর্তমানে সেই গাছ থেকে তারা দৈনিক দুই থেকে আড়াই শত লিটার রস নামান এবং সেই রস জাল দিয়ে গুড়ে রুপান্তর করে বিক্রয় শুরু করেছেন। প্রতি কেজি গুড় দুই শত টাকা ও রস প্রতি গ্লাস ২০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন তারা। এই অঞ্চলে খেজুরের তেমন কোন বাগান বা চাষি নেই। ফলে এখানকার মনুষ খেজুরের গুড় তৈরী দেখতে অভস্থ্য নয়। তাই প্রথমবারের মতো গাছিদের খেজুর গুড় তৈরী করা দেখতে ভিড় করছেন সব বয়সী মানুষ। এদিকে প্রতিদিন গাছ থেকে রসের হাড়ি চুরি হওয়ায় বিপাকে আছেন গাছিরা। খেজুরের রস খেতে ও খেজুরের গুড় তৈরী দেখতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা সাধারণত আঁখ চাষ করে থাকি এবং আঁখের গুড় তৈরী দেখেছি। আমাদের এই অঞ্চলে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে কোন খেজুরের বাগান নাই বললেই চলে। তবে অনেক বছর আগে স্থানীয়রা রেল লাইনের দুই পাশে খেজুরের গাছ লাগিয়েছিলো যার সুফল বর্তমানে আমরা পাচ্ছি। এমন কথা বলেন কবির সরকার,রায়হানুল হক, আরিফ হোসেনসহ অনেকে। খেজুরের রস ও গুড় বিক্রেতা গাছি রেজাউল ইসলাম জানান, আমরা প্রতিবছর রাজশাহী নাটর থেকে দল বেঁধে রস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এই এলাকায় আসি। আমরা এই পরিত্যাক্ত গাছ গুলোকে যতœসহকারে পরিস্কার করে রস আসার মতো উপযোগী করে তুলি। একটি খেজুর গাছ আট থেকে ১০ বছর পর্যন্ত রস দয়ে। প্রতিবছরে তিন থেকে চার মাস খজেুর গাছ থেকে মিস্টি রস সংগ্রহ করা যায়। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশী মিষ্টি রস পওয়া যাবে। আমরা প্রতিদিন সংগ্রহ করা রস জাল দিয়ে পাঠালী ও বাটি গুড় তৈরী করে থাকি। যা বর্তমান বাজারে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। এর পাশাপাশি এলাকার অনেকে মিষ্ঠি রস খেতে আসে। রস প্রতি গ্লাস ২০টাকা দরে বিক্রয় করে থাকি। আমরা কঠোর পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করে আমরা এই গুড় তৈরী কাজ চলমান রেখেছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com