নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্র হত্যার দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জনমত উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার আরেকটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে সরকারের পদত্যাগ ও অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে অবরোধের সমর্থনে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতারা এসব কথা বলেন। মিছিলটি বিজয়নগর পানির টাংকি থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর আল-রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি অশ্রদ্ধা রেখে দেশকে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
জোট নেতারা বলেন, দেশের প্রতিটি কাঠামোর ওপর সরকারের আঘাত ও লুটপাটের চিহ্ন আওয়ামী লীগের নির্মম ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। তবে এই মুহূর্তে স্বৈরাচার সরকারের বিদায় করতে না পারলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অরক্ষিত হবে। দেশ রক্ষার প্রয়োজনে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ আমাদের। এদেশের মালিক জনগণ, ভিনদেশী কৃতদাস সরকারকে ক্ষমতায় রাখলে জনগণ মালিকানা হারাবে। আমাদের আন্দোলন বিজয় সুনিশ্চিতের পথে ইনশা আল্লাহ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতৃবৃন্দ আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর সরকারের পদত্যাগ ও তফসিল ঘোষণা বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।