শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি রাসূল (সা.)-এর সীরাত থেকে শিক্ষা নিয়ে দৃঢ় শপথবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে—ড. রেজাউল করিম চৌদ্দগ্রামে বাস খাদে পড়ে নিহত ৫, আহত ১৫ চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক হামাসের অভিযানে ১২ ইসরাইলি সেনা নিহত আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় গাজানীতির প্রতিবাদে বাইডেন প্রশাসনের ইহুদি কর্মকর্তার লিলির পদত্যাগ

মাল্টা বিক্রি করে খুশি কুমিল্লার চাষিরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

জলার গ্রামে গ্রামে এখন সবুজ মাল্টার উৎসব চলছে। মাল্টা বিক্রি করে ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। অন্যদিকে ভোক্তারা ফরমালিনমুক্ত তাজা মাল্টা কিনতে পেরে আনন্দিত। বিশেষ করে কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট, দেবিদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাল্টার চাষ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে মাল্টার চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে ১০/১৫টি করে চারা লাগাচ্ছেন গৃহস্থরা। সব মিলিয়ে তিন শতাধিক চাষি মাল্টা চাষে জড়িত। তাদের উৎপাদিত মাল্টা কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় ফল দোকানসহ বিভিন্ন উপজেলার দোকানে বিক্রি হচ্ছে। কুমিল্লার বরুড়া পৌর এলাকার উত্তরের গ্রাম মুগুজি। গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুর রব মাল্টার বাগান করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। দেশে এসে স্থানীয় বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন। বাড়ির পাশে নিজের কিছু জমি ছিল। পরিকল্পনা করলেন অর্থকরি কোনো ফলের বাগান করবেন। ইউটিউবে মাল্টার চাষ ও সম্ভাবনা দেখলেন। তিনি চার বছর আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সহযোগিতা নিয়ে ১৭ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করেন। তার ভালো ফল দেওয়া গাছ থেকে মৌসুমে প্রতিটি থেকে ৩৫ কেজির মতো মাল্টা পেয়েছেন। এ মাল্টা আকারের বড়, মিষ্টিও খুব। তিনি বাজারের পাইকারের কাছে মাল্টা বিক্রি করেন না। গ্রামের মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করেন, যাতে এ ফল সবাই কিনতে পারে।
জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলাম বাসসকে বলেন, দেশের শতভাগ মাল্টা আমদানি করতে হয়। এদেশে ভারত, চীন থেকে বেশি মাল্টা আসে। যার অধিকাংশ ক্ষতিকর ক্যামিকেল যুক্ত। দেশের উৎপাদিত মাল্টা এখন বাজারে পাওয়া যায়। যা দেশের মাল্টার পাঁচ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে। এ গতি অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে মাল্টা রপ্তানি করা যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ্উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, মাল্টার চাষ করতে অনেকে আগ্রহী। তারা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করছেন। কুমিল্লায় প্রচুর মাল্টা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। মাল্টার বাগান করতে আগ্রহীদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com