সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা জানান তারা। ঢাকা সেনানিবাসে সকাল ৮টার দিকে শিখা অনির্বাণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে সাড়ে ৮টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদগুলোতে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।