জেলার খালিয়াজুরী উপজেলায় বছরের পর বছর ধরে নৌপথে পাথর, কয়লা বালুবাহী বলগেট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলছে চাঁদাবাজি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, সিলেটের ছাতক, জাফলং হয়ে নৌপথে বলগেট দিয়ে পাথর, কয়লা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যে সিলেট, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাথর, কয়লা ও বালু নিয়ে যাওয়া হয়। সিলেট থেকে যাওয়ার পথে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর ধনু নদের গাগলাজুর নতুন বাজার আসদপুর, নাওটানা, পাছহার্ট সহ বিভিন্ন পয়েন্টে নৌ-পুলিশের নাম করে লিপসা বাজারের ময়না নামে এক চাদাঁবাজ দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘ বদ্ধ চক্র নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দিনে রাতে চাদাঁবাজি করে আসছে। তাদের সাথে প্রশাসন ও রাজনৈতিক যোগসাজসে বলগেট থেকে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বলগেটের চালকদের মারধর করা হয়। সিলেটের এক বলগেট চালক নুর মোহাম্মদ বলেন টাকা না দিলে ডাকাত সন্ত্রাসের মতো হামলা করে সাথে থাকা সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদেরকে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এরা হলো চাকুয়া ইউনিয়নের লেপসিয়া বাজারের ময়না মিয়া,আব্দুল আহাদ লিপসা,জামাল মিয়া লিপসা, কিরণ মিয়া লঞ্চগার্ট, মাসুদ মিয়া রাংছাপুর,মামুল লঞ্চগার্ট, সাইকুল মিয়া জগনাথ পুর,কামাল মিয়া পাচহার্ট, স্বপন মিয়া আলীপুর,এমদাদ মিয়া লিপসা, রুবেল মিয়া লঞ্চগার্ট, সেলিম মিয়া লঞ্চগার্ট এরা মিলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় থেকে এসব চাদাঁবাজি করে। এই নিয়ে ময়না মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খালিয়াজুরী থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাশার বলেন এরমধ্যে থানায় একটি মামলা হয়েছে। চাঁদার বিষয়ে নৌপুলিশের সাথে কথা বলেন।
চাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সবধরণের সহযোগীতা করবো। লেপসিয়া বাজার থেকে নৌকায় মলামাল নেওয়া রতন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী জানান, চাদাঁর বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সুফল হয় না। শতশত এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের দুর্নীতিবাজদের ম্যানেজ করে প্রতিদিন নৌপথে চাঁদাবাজি হয়। লেপসিয়া নৌ-পুলিশের দায়িত্বে থাকা এসআই চাঁন মিয়া বলেন ময়না মিয়া নদী পথে মার্কারের জন্য ১০ থেকে ২০ টাকা করে নেয়। এই নিয়ে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ বলেন বিষয়টি এখনেই দেখছি।