সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন

নালিতাবাড়ী মুক্তদিবস পালন

আল আমীন (নালিতাবাড়ী) শেরপুর
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

০৭ ডিসেম্বর নালিতাবাড়ী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে শেরপুর জেলাধীন নালিতাবাড়ী উপজেলা পাকহানাদার বাহিনী মুক্ত হয়েছিল। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে ০৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সেঁজুতি অঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী।নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বকুল মুক্ত দিবস উদযাপনের শুভারম্ভ করেন। পরে পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেঁজুতি অঙ্গনে শেষ হয়। আনন্দ শোভা যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে নালিতাবাড়ীকে দখল মুক্ত করেন। জানা গেছে, শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি জনপদ নালিতাবাড়ীতে দুইদিন দুইরাত সরাসরি যুদ্ধের পর মুক্তির এই দিনটি এলাকার মানুষের স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে আজও। এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বর্তমান উপজেলা পরিষদ, রামচন্দ্রকুড়া ফরেষ্ট অফিস, হাতিপাগার বিডিআর ক্যাম্প, তিনআনী ও আহাম্মদ নগরে শক্তিশালী ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীরা জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দীর্ঘ ৯ মাসে উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাক হানাদার বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে নারী পুরুষসহ অসংখ্য মানুষ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ হারায়। টানা দুইদিন দুইরাত গুলিবর্ষনের পর ৬ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমান দিয়ে বোম্বিং করার পরিকল্পনা করে। এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে সে পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়।অবশেষে ৭ডিসেম্বর নালিতাবাড়ী উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com