শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন

ফরিদগঞ্জে আবারও ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় ইটভাটা, বড় ধরনের ক্ষতির মুখে মালিকরা

এমরান হোসেন লিটনের (ফরিদগঞ্জ) চাঁদপুর
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আবার ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের থাবার মধ্যে পড়েছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইটভাটার মালিকরা। গত ১৭ ই নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে উপজেলার প্রায় ২০টি ইটভাটার ১কোটিরও বেশি কাঁচাইট নষ্ট হয়। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকা। এখন আবার গত ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অধিক পারিশ্রমিক দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছিলেন মালিকরা। এবং নতুন করে লাখ লাখ ইট প্রস্তুতও করেছিলেন। কিন্তু নতুন করে আবার ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের থাবার মধ্যে পড়েছে ইটভাটার মালিকরা। বুধবার ও বৃহস্পতিবার উপজেলার মুন্সিরহাট কামতা, গল্লাক, মানিকরাজ সহ প্রত্যান্ত অঞ্চলের ইটভাটা গুলো দেখতে গিয়ে দেখা যায় আবার নতুন করে লাখ লাখ কাঁচা ইট প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এবং নতুন করে আবির্ভূত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের থাবা থেকে রক্ষার জন্য পলিথিন দিয়ে কাঁচা ইট ঢাকনা দিয়ে রাখা হচ্ছে। এসময় উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা একাধিক ইটবাটার শ্রমিকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, গত কদিন আগে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আমাদের মালিকদের লাখ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট করে সর্বশান্ত করে গেছেন। এখন আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড় উঠেছে যার কারণে আমাদের মালিকপক্ষের মন অত্যান্ত খারাপ। অনেক মালিক মন খারাপের কারণে ইট বাটার কাছেও আসে না। এছাড়া ইটভাটার মালিকদের এই ক্ষতি দেখে অনেক শ্রমিক মন খারাপ করে বিভিন্ন স্থানে বসে থাকতে দেখা গেছে। অন্যদিকে মানিক রাজ ইটভাটার পরিচালক আব্দুল সাত্তার মেম্বার বলেন, গত ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে আমাদের সব শেষ। এখন আবার অধিক হারে ঋণ নিয়ে নতুন করে আবার কাঁচাইট প্রস্তুত করেছি। কিন্তু আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা দিয়েছে। এতে করে আমাদের কি হয় আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি বলেন, ইটভাটা গুলো প্রশাসনের যেসব দপ্তর দেখাশোনা করে তারা যদি ইট ভাটাগুলোর প্রতি একটু সহানুভূত হয় তাহলে আমরা মালিকপক্ষ তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকব। এছাড়া ফরিদগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির নেতা এবং মেসার্স মুন ব্রিকসের মালিক সুমনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত কয়দিন আগের ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইটভাটার প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে রাত দিন পরিশ্রম করে এবং শ্রমিকদের অধিক পারিশ্রমিক দিয়ে কাঁচাইট প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব স্বপ্ন বিলীন হওয়ার পথে। ইটভাটার মালিক প্রবাসী মিরন খান বলেন, গত ঘূর্ণিঝড়ে তার ১০ লাখ ইট নষ্ট হয়। এখন আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড়, এই ঘূর্ণিঝড়ে কি ক্ষতি হয় সেটা আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের যেসব দপ্তর ইট ভাটা গুলো পরিদর্শন করেন, তারা যদি ইট ভাটার মালিকদের প্রতি একটু সহানুভূত হয় তাহলে মালিকপক্ষ তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে বলে তিনি জানান। চাঁদপুর জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান সপু কোম্পানি বলেন, আগের ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ইটভাটার মালিকদের ফকির বানিয়ে গেছে। যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে মালিকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এবং ব্যাপক হারে কাঁচাইট প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের থাবা! আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি ইটভাটা মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কর্তৃপক্ষের সহানুভূতি কামনা করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com