প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামীদের মামলা তুলে নিতে বাদিকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উর্ধতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন বাদি আনোয়ার হোসেন নয়ন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজশাহী বোয়ালিয়া থানার ষষ্টিতলা নিউমার্কেট, হোল্ডিং নং- ৪৩৩/৫ তাদের বাসা। ভাই মো. আব্দুল মতিন রাজশাহীর একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। রাজশাহী নিউমার্কেটে এশিয়ান স্কাইশপ, এশিয়ান ক্রোকারিজ ও নগরীর থিম ওমর প্লাজায় ‘কুইন্স পার্ক’ নামে একটি কসমেটিকসসহ বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। তার পুর্বপরিচিত নুরুন্নবী পলাশ তার শ্যালক মিনারুল হক মিঠুকে ভাইয়ের দোকানে ম্যানেজার হিসাবে চাকরি দেন। ২০২২ সালের দিকে আব্দুল বিদেশ যাওয়ার আগে ছোট ভাই নয়নকে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নী দিয়ে যান। এ সময়ে চতুর মিঠু ভাইয়ের স্বাক্ষর করে রেখে যাওয়া প্রায় ১০ টি ব্যাংকের বিপুল চেক চুরি করে তার দুলাভাই পলাশের হাতে দেয়। পলাশ কয়েকটি ওই চেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা বসিয়ে মতিনের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামরা করে। মতিন বিদেশ থাকায় ছোট ভাই নয়ন বাদি হয়ে পলাশসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা দারে করেন। ওই মামলায় নগরীর তেরখাদিয়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নুরুন্নবী পলাশকে গ্রেফতার কয়েকটি চেকের পাতাও উদ্ধার করেন বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের একটি দল। আদালত তাকে জেলে পাঠান। অপর আসামী জামিন নিতে গেলে তাকেও জেলে পাঠানো। কিন্তু চার্জশিট দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে গত মাসের ২৮ তারিখ বিকেলে নয়ন ও স্বাক্ষীদের ডেকে পাঠান জয়েন্ট কমিশনার হেমায়েতুল ইসলাম।
নয়ন বলেন, তার অফিসে ঢুকতেই অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এ মামলা তুলে না নিলে তোকে গুলি করে তোর হাতে অস্ত্র ধরিয়ে ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দিবো। বুদ্ধি থাকলে তুই দ্রুত এ মামলা তুলে নিবি। না হলে তুই ও তোর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে ১০০ টা মামলা হবে। গালি দিয়ে বলেন, এ মামলা যারা নিয়েছে সেই বাচ্চাদেরও’ ব্যবস্থা করবো। নয়ন বলেন, এরপর থেকে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। যে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইবো সেই পুলিশ হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।