আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই।ঝরের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ। পাকা জামের মধুর রসে রঙ্গিন করি মুখ। ছোটবেলায় পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের এই কবিতাটি পড়ে নাই এমন কেউ নেই। আর এরকমই চিত্র ফুটে উঠেছে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা পরিষদ কৃষি অফিসের সামনে। সারি সারি আম বাগানের গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্হানে সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে হলুদ গাছে। সরেজমিনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের ভেতরে গাছতলায় পতিত প্রায় দুই বিঘা জমিতে ডিমলা জাতের হলুদ গাছ বাতাসে সবুজ পাতাগুলো দোল খাচ্ছে। আর সবুজে ঘেরা এ হলুদ খেত কৃষি অফিসে সেবা নিতে আসা কৃষকদের নজর কেড়েছে।এতে করে সেবা প্রত্যাশীরা তাদের বসত বাড়ির পতিত জমিতে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকেই। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে”এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে” সবার যতটুকু জমি আছে সেখানে সবজি বা ফসল উৎপাদন করুন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে পতিত জমিতে স্থানীয় ডিমলা জাতের হলুদ চাষ করা হয়েছে। এ উপজেলা হলুদ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়া আমরা কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং উৎসাহ দিতে এখানে অল্প পরিসরে হলুদ চাষ করেছি। তাছাড়া হলুদ গাছের পাতা তেতো হওয়ায় হলুদ গাছে পোকা বসে না। এ কারণে হলুদে কোনো কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কৃষি অফিসের সামনে ৬০ শতাংশ পতিত জমিতে হলুদ চাষ করেছি এবং পাশাপাশি মডেল পুষ্টি বাগান তৈরি করেছি। কৃষি অফিসে সেবা নিতে আসা উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের কৃষক মো: জিকরুল হক(৬০) বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে পতিত জমিতে হলুদের চাষ দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। এখন থেকে আমি নিজেই আমার বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা আশেপাশে যে সকল পতিত জমি রয়েছে সে-সকল জমিতে বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করবো বলে মত প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন আহমেদ বলেন,হলুদ চাষ একটি লাভজনক ফসল।তাছাড়া হলুদ গাছের পাতা তেতো হওয়ায় হলুদ গাছে পোকা বসে না। এ কারণে হলুদে কোনো কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা কৃষি অফিসের সামনে ৬০ শতাংশ পতিত জমিতে হলুদ চাষ করেছি এবং পাশাপাশি মডেল পুষ্টি বাগান তৈরি করেছি।