বরিশালে বেদে সম্প্রদায়, সহায় স্বম্ভলহীন সেই সব মানুষগুলো এখন স্বপ্ন দেখছে সুন্দর ভাবে বেচেঁ থাকার। বিগত ১৫ বছরে ৪র্থ ধাপে ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’ বরিশাল জেলার ভূমিহীনদের পরিবারের সদস্য উন্নীত করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার জেলার লাখো অসহায় মানুষের মাঝে ৪র্থ ধাপে জমিসহ গৃহ বুঝিয়ে দেয়। জেলার বরিশাল সদর উপজেলায় ৮১২টি, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ৫৪৩টি, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ৯১৫টি, উজিরপুর উপজেলায় ৫৩৩টি, বানারীপাড়া উপজেলায় ৬৮৫টি, গৌরনদী উপজেলায় ৭৪১টি, মুলাদী উপজেলায় ৪৪৫টি, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৪৬৬টি, হিজলা উপজেলায় ৫৭৩টি, ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় ২২২টি। সর্বমোট প্রায় ৫ হাজার ৯ শত ৩৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহ প্রদান করেছেন। পাশাপাশি আশ্রয়ন প্রকল্পের মাঝেই নির্মান করা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য একটি পার্ক। সরোজমিনে জেলার একাধিক আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখাগেছে, ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় জমিসহ গৃহ পেয়ে এই মানুষগুলোই আজ আয়বর্ধক পরিবারে উন্নীত হয়ে উঠেছে। নদী ভাঙ্গনের স্বীকার, ভূমিহীন, বেদে সম্প্রদায়, সহায় স্বম্ভলহীন প্রতিটি মানুষের বসতি যেন আজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পে গড়ে উঠেছে। জমিসহ গৃহ পেয়ে তারা আজ নিজ নিজ আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছে এক একটি খামার। কেউ গড়ে তুলেছে সবজী বাগান, কেউবা হাসঁ-মুরগীর খামার। তারা তার পরিবারকে গড়ে তুলেছে আয়বর্ধক অবস্থান। এ বিষয়ে সদর উপজেলার নাসরীন বেগম কষ্টের দিনগুলো মনে করে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে তিনি বলেন, এই আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর পেয়েছি। সেই সব কষ্ঠে দিন এখন আমাদের পরিবারে আর নেই। সেই সব ভাবনা এখন আর নেই। নিজেদের একটা ঠিকানা হয়েছে এই যথেষ্ঠ। এজন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী মানবতার মায়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, স্বামী শহরে রিক্সা চালায় ও আমি একটি হাসঁ-মুরগীর একটি ছোট খামার গড়ে তুলেছি। সেই খামার থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করি। এ বিষয়ে আলাপকালে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম চলমান প্রকল্পের সাফল্যর উদাহরন দিয়ে বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের পুর্নবাসিত সুবিধাভোগীরা আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বাসিন্দাদের বর্তমান সরকার শুধু থাকার সুযোগই সৃষ্টি করেনি। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা এবং তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থাও করেছেন।