শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::

জামালপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৫তলা ভবন ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

(স্টাফ রিপোর্টার) জামালপুর
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জামালপুর শহরের কাচারীপাড়ায় নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবন অবৈধভাবে ভাংঙ্গার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরন দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেছেন ভোক্তা ভোগী দক্ষিণ কাচারীপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদুল করিমের ছেলে কলেজ শিক্ষক মোঃ বজলুর রশিদ জুয়েল ও তার পরিবার। গতকাল ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জামালপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে ভুক্তভোগী বজলুর রশিদ জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসাসহ উক্ত স্থানে আমার মালিকানাধীন প্রায় ১০ শতাংশ জমি ছিলো। আমি বিভিন্ন ছলচাতুরীর স্বীকার হয়ে উক্ত জমির পিছনে ০৫ শতাংশ ভূমি এসিল্যান্ড সদর -জামালপুর বরকত উল্লাহর নিকট বিক্রি করি।সে মাত্র বিগত ৫ মাসের মাথায় এসি ল্যান্ড পদে চাকরির সুবাদে আমাকে উক্ত জমির মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে যার উৎস পুরোটাই কালো টাকা। পরর্বতীতে এসি ল্যান্ড বরকত উল্লাহ আমাকে উক্ত জমি কওলা করার জন্য চাপ দেয় পরে তিনি সুকৌশলে উক্ত জমি নিজ নামে সাব কওলা না করে তার শাশুড়ির নামে হেবা ঘোষণা করে নেয়। এসি ল্যান্ড বরকত উল্লাহর শাশুড়ী আমার আপন ছোট বোন। উক্ত জমি এসি ল্যান্ড বরকত উল্লাহর শাশুড়ী তার মেয়ে অর্থাৎ তার স্ত্রীর কে লিখে দিবে হেবা ঘোষণা দলিলের মাধ্যমে যাতে সরকারি কর ফাঁকি দেওয়া সহজ হয়। উক্ত জমিতে ইজমালিকানায় শর্তে ৩ ফুট রাস্তা দেই। উক্ত ৩ফুট রাস্তার মধ্যে আমার ২ফুটএবং এসিল্যান্ড এর ১ফুট রাস্তা রহিয়াছে। আমি ৩ফুট রাস্তার বরাবর দেওয়াল নির্মাণ করি ও সীমানা চিহ্নিত করি। বর্তমানে এসি ল্যান্ড বরকত উল্লাহ ০৫ শতাংশ জমির মূল্য পরিশোধ করলেও বাকী রাস্তার ০৩ ফুট জমির জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করেনি উল্টো এসিল্যান্ড বরকত উল্লাহ উক্ত জায়গায় ০৬ ফুট প্রসস্থ রাস্তার জন্য অন্যায় দাবি করে পৌর মেয়র বরাবর দরখাস্ত দেয়। উক্ত দরখাস্তের প্রেক্ষিতে পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত নোটিশের ভিত্তিতে আমার দেওয়া হেবা ঘোষণা দলিলটি বিজ্ঞ সাব জজ ০১ আদালতে দলিল বাতিলের মামলা করি এবং উক্ত মামলার মাধ্যমে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে উক্ত মামলা নং-১৯৩/২৩ অন্য প্রকার। উক্ত মামলার যাবতীয় আদেশ আমি মেয়র সাহেব ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ কে অবহিত করি। এরপরেও পৌরসভার সার্ভেয়ার রবিনের নেতৃত্বে একদল লোক এবং এসিল্যান্ড বরকত উল্লাহর নিজস্ব গুনডা বাহিনী আসিয়া নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আইন অমান্য করে দেওয়াল ও ছাদ হেমার দিয়ে ভেঙে দেয়। উক্ত সার্ভেয়ার রবিন ইতিপূর্বে আমার নিকট নগদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন এবং আরো চল্লিশ হাজার টাকা দাবি করে। এমতাবস্থায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে মেয়র মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কারো কাছে কোন প্রকার সাহায্য পাই নাই। এই দুর্নীতিবাজ, ঘোঘখোর, কালোটাকার পাহাড় অর্জনকারী এসি ল্যান্ড বরকত উল্লাহর আইনের বিধি লংঘন করে মহামান্য আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমার নিজস্ব পাঁচতলা ভবন ভেঙে ২০ লাখ টাকার বেশি পরিমন ক্ষতি করেছেন। এছাড়াও আমাকে সমূলে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছেন এবং আমার প্রাণ নাশের হুমকিও দিচ্ছেন। তাই আমি সাংবাদিকভাইদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং জামালপুর জেলা প্রশাসকের নিকট দূত প্রতিকার চেয়ে সাহায্য প্রার্থনা করছি। অবিলম্বে এই জামালপুর জেলার সদর এসিল্যান্ড বরকত উল্লাহকে যেন দ্রুত প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com