বর্ষায় হাটুসম কাঁদা আর শুকনো মৌসুমে বালু আর খানাখন্দভরা গুরুত্বপূর্ণ দুই কিলোমিটার রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভাবলাসহ পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে। ভাবলা মোল্লাবাড়ি হচ্ছে শেখ বাড়ির শেষ সীমা পর্যন্ত মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তার অভাবে কৃষি পণ্য, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, খামারিদের দুর্ভোগ, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসায় অসুবিধা, নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন সহ অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে মানুষ। দীর্ঘ সময় ধরে জন প্রতিনিধি, উপজেলা ও জেলার দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত মানুষদের বিরক্তি ভরা কন্ঠে হতাশার ছাপ। কয়েক দফা ইটের সোলিং বাদ দিয়ে রাস্তা পাকা করণের আশ্বাস স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পেলেও বাস্তবে আশায় গুড়ে বালি। গত কয়েকদিন আগে বৃষ্টির পর দেখা গেছে এ রাস্তায় চলাচল করা মানুষের দুর্ভোগের চিত্র। লাল মাটি বৃষ্টির পানিতে এঁটেল মাটিতে পরিণত হয়। বৃষ্টির পর এ রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা, বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল, পিক-আপ চলতে গিয়ে অনেকটা যুদ্ধাবস্থা শুরু হয়। অল্প রাস্তা হলেও দীর্ঘ সময় ব্যয় করে এ ফাঁদ থেকে বের হতে হয়। আবার শুকনা মৌসুমে ধূলা বলিতে একাকার হয়ে যায় মানুষ, ক্রয়কৃত পণ্য, রাস্তার পাশে সংরক্ষিত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। সবজি ক্ষেত, গাছের পাতা সবকিছু বালিতে লাল হয়ে যায়। খানাখন্দের রাস্তায় মাঝে মাঝে বিশালকায় গর্তের কারণে হর হামেশাই ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটছে। চরম এ দূর্ভোগের কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় প্রাইমারি শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন, এ রাস্তাটির জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে আমি ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বহু ছুটোছুটি করেছি। আশ্বাস পেলেও কাজ হচ্ছে না এখনও। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন খোকা বলেন এলাকার মানুষের সাথে আমিও রাস্তাটির জন্য দৌড়াদৌড়ি করছি। প্রায় দুই কিলোমিটারের বেশি হওয়ায় রাস্তাটি ইটের সোলিং না করে একবারে পাকাকরণের দাবি জানিয়েছি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে। রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এই রাস্তাটির কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।