সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হিলি বাজারে জমে উঠেছে ভারতীয় কম্বল ও চাদরের জমজমাট মার্কেট। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি, পরে জেঁকে বসেছে শীত। আর শীতের সম্বল হিসেবে কম্বল ও চাদর কিনতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতারা এই বাজারে। টানা কদিনের বর্ষায় উত্তরবঙ্গে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় জুবুথুবু জনজীবন। তীব্র শীতে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছে মার্কেটে। সীমান্তবর্তী হিলি শহরে সহজে মিলছে ভারতীয় কম্বল, চাদর ও বিভিন্ন প্রকার সোয়েটার। শীত আসলেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে এই বাজারে এসব প্রসাধনী কিনতে। দোকানেরগুলোর ভিতর ও বাহিরে সারিবদ্ধভাবে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় কম্বল, চাদর ও সোয়েটার। সূলভ মুল্যে এসব প্রসাধনী কিনতে পেয়ে খুশি তারা। ৫ কেজি ওজনের প্রতিপিচ কম্বলের দাম ২৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা, ৮ কেজি ওজনের কম্বল ৪০০০ থেকে ৪২০০ টাকায়। আবার গায়ে জোরানো চাদর রয়েছে ১০০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে। এদিকে হরতাল-অবরোধে বাহির থেকে ক্রেতা কম, যার কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে, যদি হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার হয় তাহলে ব্যবসা ভাল হবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। গাইবান্ধা থেকে আসা লুৎফর রহমান বলেন, কয়েকদিন থেকে শীত পড়তে শুরু করেছে। বাড়িতে কম্বল প্রয়োজন, তাই হিলিতে আসছি কম্বল কিনতে। এখান ভাল মানের ভারতীয় কম্বল পাওয়া যায়। ৮ কেজি ওজনের ২টি কম্বল নিলাম ৪ হাজার টাকা দরে। বিরামপুরের কাটলা গ্রামের রাজু আহমেদ বলেন, পরিবার নিয়ে হিলি বাজারে এসেছি শীতের কাপড় কিনতে। ছেলেমেয়েদের জন্য সোয়েটার আর স্ত্রীর জন্য ভারতের চাদর কিনলাম। হিলির কাপড়ের মার্কেটে কম দামে ভারতীয় কাপড়চোপড় পাওয়া যায়। হিলি বাজারে কাপড় মার্কেটের কয়েকজন দোকান কর্মচারী বলেন, শীত পড়ে গেছে, দোকানে বেচাবিক্রি শুরু হয়ে গেছে। তবে এবার শীতের আগমুহূর্তে শীতের কেনাকাটা তেমন ভাল জমেনি, বর্তমান অনেকটা জমে উঠেছে। হিলি বাজারে লাবণ্য ফ্যাশানের মালিক আনারুল ইসলাম বলেন, চলতি শীত মৌসুমে এবার শীতের প্রভাব দেড়িতে পড়েছে। বেচাবিক্রি তেমন জমে উঠেনি। কয়েকদিনের শীতের দাপটে গরম কাপড় বেচাবিক্রি ভাল হচ্ছে। তবে হরতাল-অবরোধের কারণে বাহির থেকে লোকজন আসতে পারছে না। বাহির থেকে লোকজন না আসলে আমাদের বেচাবিক্রি তেমন জমে উঠে না। হিলি বাজারের প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত ভারতীয় কম্বল, চাদর, সোয়েটার সহ দেশি-বিদেশি জ্যাকেট রয়েছে। আশা করছি শীতের প্রভাব বেশি হলে বেচাবিক্রি আরও বেশি হবে।