শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

বহু বিয়ে : ইসলামী দৃষ্টিকোণ

আলী ওসমান শেফায়েত:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিয়ে মানবজীবনের এক অপরিহার্য অংশ। মানব প্রজন্মের সুরক্ষা, সুষ্ঠু ও সুস্থ পরিবার গঠন এবং সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য বিয়ে এক নির্বিকল্প ব্যবস্থা। সমাজের একক হচ্ছে পরিবার। বিয়ের মাধ্যমেই এই পরিবারের ভিত স্থাপিত হয় এবং তা সম্প্রসারিত হয়। ব্যক্তিজীবনের শৃঙ্খলা, ব্যক্তির মানসিক ও দৈহিক সুস্থতা ও ধৈর্য, সাহসিকতা, সহমর্মিতা প্রভৃতি গুণাবলিসহ তার সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনে বিয়ের ভূমিকা অভাবনীয়। সুতরাং বিয়ে ইসলামের অন্যতম প্রধান সামাজিক বিধান এবং মহানবী সা:-এর এক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। ইসলামে বিয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারের দেখা হয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেন- ‘তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারী-পুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস-দাসীদের বিয়ে দাও। তারা অভাবী হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।’ (সূরা নূর-৩২)
রাসূল সা: বলেছেন, ‘বিয়ে করা আমার সুন্নাত। যে আমার সুন্নাত অনুসরণ করল না, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (ইবনে মাজাহ-১৮৪৬)
ইসলামে শর্তসাপেক্ষে বহুবিয়ে বৈধ। তবে, সেটি শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। স্ত্রী জীবিত থাকাবস্থায় একজন পুরুষ সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারবেন। তবে, স্বামী জীবিত থাকাবস্থায় বা তালাক না দিলে একজন নারী একাধিক স্বামী গ্রহণ করতে পারবেন না। এটিই ইসলামের বিধান। (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব, ফতোয়া নং-১০০০৯)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন- ‘আর যদি তোমরা ভয় করো যে, এতিম মেয়েদের হক যথাথভাবে পূরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভালো লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা করো যে, তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না; তবে একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।’ (সূরা নিসা-৩) এখানে বলা হয়েছে যে, দুই, তিন বা চারটি বিয়ে করা যাবে, তবে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে না পারলে একটি বিয়ে করতে হবে। অর্থাৎ এখানে ন্যায়সঙ্গত আচরণকে শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। আর পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন যা একটি বিয়ের কথা বলেছে এবং আমরা জানি এই ন্যায়সঙ্গত আচরণ মেনে চলা খুব কঠিন।
কেননা, পবিত্র কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- ‘স্ত্রীদের মধ্যে পুরোপুরি ইনসাফ করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তোমরা চাইলেও এ ক্ষমতা তোমাদের নেই। কাজেই এক স্ত্রীকে এক দিকে ঝুলিয়ে রেখে অন্য স্ত্রীর প্রতি ঝুঁকে পড়বে না। যদি তোমরা নিজেদের কর্মনীতির সংশোধন করো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো, তাহলে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।’ (সূরা নিসা-১২৯)
আর রাসূলল্লাহ সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী আছে সে যদি একজনের প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে সে কিয়ামতের দিন দেহের কেবল অর্ধাংশ (পঙ্গু হয়েই) নিয়েই উঠবে।’ (নাসায়ি-৩৯৪২, আবু দাউদ-২১৩৩, তিরমিজি-১১৪১, ইবনে মাজাহ-১৯৬৯)
ইসলামে বহুবিয়ে বিশেষ কয়েকটি কারণেই আল্লাহ অপশন হিসেবে দিয়েছেন- ১. স্ত্রী যদি স্বাস্থ্যগত কারণে সন্তান জন্মদানে অক্ষম মর্মে চিকিৎসা অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়, তখন সন্তানপ্রত্যাশী স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করবেন, এটিই স্বাভাবিক।
২. পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীর সংখ্যা পুরুষের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদি প্রত্যেক পুরুষ শুধু একজন নারীকেই বিয়ে করে, তাহলে তার অর্থ এই দাঁড়াবে যে, কিছু নারীকে স্বামী ছাড়াই থাকতে হবে, যা তার ওপর এবং সমাজের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে। তাহলে বাকি নারী হয় আজীবন একা থাকবেন নতুবা পাবলিক প্রোপার্টি হতে বাধ্য হবে। ৩. কখনো কখনো যুদ্ধ-বিগ্রহ, দুর্ঘটনা ও ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রে নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি সংখ্যায় নিহত হয়ে থাকে। এটি হলো স্বামীবিহীন নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর তার একমাত্র সমাধান হলো একাধিক বিয়ে।
৪. পুরুষের মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রবল শারীরিক চাহিদা বিদ্যমান, যাদের জন্য একজন স্ত্রী যথেষ্ট নয়। যদি এমন একজন ব্যক্তির জন্য একাধিক স্ত্রী গ্রহণের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে এটি তার জন্য কঠিন কষ্টের কারণ হবে এবং তার জৈবিক চাহিদা তাকে হারাম পথে পরিচালিত করবে।
৫. একজন স্ত্রী হয়তো এতটা রুগ্ণ হতে পারে যে, তার সাথে তার স্বামী দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে তার একমাত্র উপায় হলো অন্য একজন নারীকে বিয়ে করা। আল্লাহ তায়ালা সূরা নিসার ৩ নং আয়াতে সংখ্যার বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন সুতরাং উম্মাহর কোনো পুরুষের জন্য চারের অধিক বিয়ে করা হারাম। ইমাম ইবনে কাসির রাহ: ও ইমাম কুরতুবি রাহ: বলেন, ‘আলেমদের ঐকমত্যানুসারে চারের অধিক বিয়ে করা হারাম। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই প ম বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে। কারণ এটি কুরআন, সহিহ হাদিস ও ইজমাবিরোধী কার্যকলাপ।’ (ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব, ফতোয়া নং-২৩৪২৯৮) ইবনে উমার রা: থেকে বর্ণিত- ‘যে সময়ে গাইলান ইবনে সালামা আস-সাকাফি ইসলাম গ্রহণ করেন সে সময়ে তার ১০ জন স্ত্রী ছিল, যাদের তিনি বিয়ে করেছিলেন জাহেলি যুগের মধ্যে। তার সাথে সাথে তারাও মুসলমান হয়। রাসূলুল্লাহ সা: তাকে এদের মধ্যে যেকোনো চারজনকে বেছে নেয়ার নির্দেশ দেন।’ (তিরমিজি-১১২৮)
হারিস ইবনে কায়িস ইবনে উমাইর আল-আসাদি রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, ‘আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন আমার আটজন স্ত্রী ছিল। বিষয়টি আমি নবী সা:-কে জানালে তিনি বলেন, তাদের যেকোনো চারজনকে বেছে নাও।’ (আবু দাউদ-২২৪১, ইবনে মাজাহ-১৯৫২)
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ রাহ: বলেন, ‘সাহাবিদের ইজমা অনুযায়ী চারের অধিক বিয়ে করা হারাম।’ (আল-ফাতাওয়াউল কুবরা)
কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার আগে বহুবিয়ের কোনো মাত্রা নির্ধারিত ছিল না এবং বিয়ে বাতিকগ্রস্ত ক্ষমতাবান প্রায় প্রতিটি মানুষ যত খুশি নারীভোগে অভ্যস্ত ছিল। সে অবস্থায় কুরআন সর্বোচ্চ চারজনের একটি মাত্রা নির্ধারণ করে দিলো। ইসলাম একজন পুরুষকে দু’জন, তিনজন অথবা চারজনের যে অনুমতি দিয়েছে তা কঠিন শর্তের মধ্যে আবদ্ধ যে, কেবল তখনই তা সম্ভব যখন তাদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সুবিচারমূলক আচরণ করতে পারবে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলেছেন- ‘স্ত্রীদের মধ্যে পুরোপুরি ইনসাফ করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তোমরা চাইলেও এ ক্ষমতা তোমাদের নেই। কাজেই (আল্লাহর বিধানের উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য একটিই যথেষ্ট যে) এক স্ত্রীকে এক দিকে ঝুলিয়ে রেখে অন্য স্ত্রীর প্রতি ঝুঁঁকে পড়বে না। যদি তোমরা নিজেদের কর্মনীতির সংশোধন করো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো, তাহলে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।’ (সূরা নিসা-১২৯)
এখানে এটি বোঝানো হয়েছে- ন্যায়সঙ্গত আচরণ করা খুব কঠিন। তাই যারা ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে পারবে না তারা যেন একটি বিয়েই করে। এটিই ইসলামের বিধান। (নাসায়ি-৩৯৪২, আবু দাউদ-২১৩৩, তিরমিজি-১১৪১, ইবনে মাজাহ-১৯৬৯)
মনে রাখতে হবে, এটি আপৎকালীন সময়ের ট্রিটমেন্ট, বাধ্যতামূলক আদেশ নয়। ইসলামে এটি ঐচ্ছিক কাজ। একজন পুরুষ একজন নারীকে বিয়ে করেই অনেক ভালো মুসলিম হতে পারে এবং আমার মতে, একাধিক বিয়ে করলে বরং অবিচার করার আশঙ্কা তৈরি হবে। এটি অসঙ্গত নয় যে, স্বামী যেকোনো একজনের দিকে অতিরিক্ত ঝুঁঁকে পড়বেন। একই মান ও দামের দু’টি শাড়ি দু’জনকে উপহার দিলেও উভয়ে সমান সন্তুষ্ট না-ও হতে পারেন। একই ডিজাইনের দু’টি অলঙ্কার দু’জনকে সমান খুশি না-ও করতে পারে। তবুও যারা মনে করে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে পারবেন এবং স্ত্রীরাও সমান অভিব্যক্তি প্রকাশ করবে তবে তারা সর্বোচ্চ চারটি বিয়ে করতে পারবেন, তার অধিক নয়। বিয়ে একটি চুক্তি। যার মাধ্যমে একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে একটি বৈধ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আর প্রত্যেকটি সম্পর্কের মতো এই সম্পর্কও কিছু দায়িত্বের জন্ম দেয়। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যে রকম দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে, তেমনি স্ত্রীর প্রতিও স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তমান। বিয়ের মাধ্যমে একটি পরিবারও গঠন হয়। পরিবারে স্বামী-স্ত্রী যেমন একটি অংশ; সন্তান ও তাদের লালন-পালনও এমন আরেকটি অংশ। পরিবারের কোনো দায়িত্ব ও কর্তব্যই স্বামী বা স্ত্রীর একার নয়; বরং এটি একটি যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত সুনিয়ন্ত্রিত সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তবে ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কাজ আলাদাভাবে স্ত্রীকে করতে হয় আর কিছু কাজ স্বামীকে। যেমন ধরুন সন্তানদের দেখাশোনা, রান্না, ঘর পরিষ্কার, কাপড়চোপড় ধোয়া, পরিবারের সদস্যের দেখাশোনা ইত্যাদি স্ত্রীকে দেখতে হয়। এ ক্ষেত্রে স্বামীর সামর্থ্য থাকলে সাহায্যকারীর ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী কাজ তদারকি করবেন। নিজে কাজ করার থেকে কিন্তু লোক চালানো কঠিন। স্ত্রীকে সেই ম্যানেজমেন্টের কাজটিই করতে হবে।
আবার স্বামীকে উপার্জনের জন্য বাইরে কাজ করতে যেতে হবে। তাকে পরিবারের সবার জন্য যেমন আর্থিক দিকটি খেয়াল রাখতে হয়, তেমনি সবার শারীরিক, মানসিক সুস্থতা, বিনোদনের ব্যবস্থা (ছোটখাটো ঘুরতে যাওয়া), বাজার-সদাই এবং ক্ষেত্রবিশেষে সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে স্ত্রীকে সাহায্য- এ রকম অনেক ভারী ভারী কাজ করতে হয়।

তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, বিয়ে শুধুই একটি সম্পর্ক স্থাপন নয়- সাথে আছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রী যেমন স্বামীর অভিভাবকত্ব মেনে নিয়ে তার প্রতি আনুগত্য, সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করবে- এটিই কাম্য। আনুগত্য ব্যাপারটি কিন্তু অত সহজ নয়! এটি অনেক ক্ষেত্রেই মুসলিমা স্ত্রীকে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা থেকেই মেনে নিতে হয়। আর এর জন্য অবশ্য পুরস্কারটিও সেই মাপের।
একইভাবে স্বামীকে নিশ্চয়তা দিতে হবে তার বিবাহিতা স্ত্রীকে একটি সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। যেহেতু পরিবার একটি যৌথ প্রতিষ্ঠান, একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া এর সফলতা আনয়ন সম্ভব নয়। স্বামীর পারিবারিক, ব্যক্তিগত, সামাজিক মান রক্ষা করা যেমন স্ত্রীর কর্তব্য, তেমনি স্ত্রীর সামাজিক, পারিবারিক নিরাপত্তা ও শারীরিক, মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার দায়িত্বও স্বামীর। এমনকি স্ত্রীর দ্বীনের বিষয়ে জ্ঞানার্জন করার সুযোগ, উৎসাহ প্রদান ও আমল করার স্পৃহা জোগানও স্বামীর কর্তব্য। কারণ স্ত্রীর দ্বীন ও তার কর্মকা- সম্পর্কে স্বামী বেচারাকে জবাবদিহি করতে হবে আখিরাতে। সুতরাং বিয়ে মানে নেহাত খাদ্যানুষ্ঠান ও নাচগানের অনুষ্ঠানসর্বস্ব আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং এটি একজন দায়িত্ববান পুরুষ ও কর্তব্যপরায়ণ নারীর একসাথে পথচলার বৈধতা। অতএব দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বিয়ে কেবল আরেকটি স্ত্রী বা আরেকটি অনুষ্ঠান নয়; বরং এক একটি অতিরিক্ত দায়িত্ব, যেটি আল্লাহ দায়িত্ববান ও শারীরিক, আর্থিক, মানসিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য জায়েজ করেছেন। যারা এই দায়িত্বগুলো সুন্দর করে পালন করতে পারবে তাদের জন্য রয়েছে অবারিত পুরস্কার।
আল্লাহর বিধান পরিপালনে সহজ এবং জীবনকে সহজ করার জন্যই প্রেরিত; কিন্তু কোনো একটি নির্দেশকে নিজের জন্য সুবিধাজনক বানিয়ে সেটিকে ঠাট্টা-বিদ্রƒপের বিষয়বস্তু বানানো কুফরি কাজ। আল্লাহ তায়ালার ওহি এবং দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় অত্যন্ত পবিত্র। বহুবিয়ের নামে সীমালঙ্ঘন আল্লাহ, তাঁর রাসূল, কিতাব এবং শরিয়াহকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রমাণ বহন করে। যারা এ ধরনের কাজ করবে, তাদের উচিত আল্লাহর দরবারে তাওবাহ করে এবং ক্ষমা চেয়ে নিজেকে সংশোধন করা, অর্থাৎ সীমার মধ্যে অবিলম্বে প্রত্যাবর্তন করা।
লেখক : শিক্ষক ও গবেষক, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com