বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২৮ দিনে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৫২ ভাগ। রোববার এ সংস্থাটি বলেছে ২০শে নভেম্বর থেকে ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে কমপক্ষে সাড়ে আট লাখ মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এ সময়ে মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কমেছে শতকরা ৮ ভাগ। মারা গেছেন কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যা কমপক্ষে ৭৭ কোটি ২০ লাখ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছেন। বৈশ্বিক ও আ লিক পরিস্থিতি নিয়ে কোভিড-১৯ মহামারীর নতুন আপডেট ইস্যু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগী এবং আইসিইউতে থাকা ব্যক্তিদেরও। মনিটরিং করা হয়েছে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট এবং বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট ইস্যুতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ১৩ই নভেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন করে করোনায় আক্রান্ত এক লাখ ১৮ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৬০০ রোগীকে নতুন করে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। যথাক্রমে এই হার শতকরা ২৩ ও ৫১ ভাগ বেশি।
১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএ.২.৮৬ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাবভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত করা হয়েছে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। একে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সাবভ্যারিয়েন্ট অধিক সংক্রমণশীল হলেও এতে প্রাণহানি বা মারাত্মক অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা কম।
ওদিকে বিশ্বজুড়ে ইজি.৫ নামে আরেকটি সাব ভ্যারিয়েন্টকে সবচেয়ে বেশি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে জেএন.১ সাবভ্যারিয়েন্টে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। তবে এর বিস্তার ঘটার আশঙ্কা প্রবল। বিশেষ করে উত্তর গোলার্ধে শীতের সময় জেএন.১ এর সংক্রমণ বেশি দেখা দিতে পারে। এতে অনেক দেশে শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস মহামারির সময় যেসব সতর্কতা দেয়া হয়েছিল প্রায় তা-ই এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।