সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শ্রীমঙ্গলে পথে-প্রান্তরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া জগন্নাথপুরে রাণীগঞ্জ সেতু নিয়ে মিথ্যাচারে এলাকাবাসীর ক্ষোভ দুই যুগ ধরে কুইচা বিক্রি করে চালাচ্ছেন সংসার শতভাগ পাস : পলাশবাড়ী হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সাফল্য ফরিদপুর জেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা তারাকান্দায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নিরাপদ সড়ক চাই দাউদকান্দি সেরা সংগঠনের পুরস্কারে ভূষিত মৌলভীবাজারে প্রতীকী শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করে ঘড়–য়া গ্রামের পন্ডিত সারদা-অন্নদা শহীদ দিবস পালণ সাদা মনের মানুষ আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ হক গাইবান্ধায় রেলের যাত্রীসেবা বাড়াতে বাদিয়াখালি রেলস্টেশনের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন

পশ্চিমবঙ্গে সিএএ হবেই: অমিত শাহ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভারতে ২০১৯ সালের শেষ লগ্নে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ পাশ হয়েছিল দেশটির পার্লামেন্ট। তবে তারপর থেকে চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য তা কার্যকর করতে পারেনি। এর আগে ২০১৯ সালে এই আইন আসার পর ভারতজুড়ে আন্দোলন দেখা গিয়েছিল। বহু জায়গায় আগুন জ্বলেছিল। অশান্তি ছড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গেও। এরই মাঝে সিএএ-র বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছিলেন, এই রাজ্যে সিএএ এবং এনআরসি কোনোভাবেই হতে দেবেন না তিনি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ফের সিএএ নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে বিজেপির দলীয় বৈঠকে শাহের স্পষ্ট বার্তা, সিএএ দেশের আইন, তা কার্যকর হবেই। এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির আইটি সেলের এক বৈঠকে সিএএ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় নাকি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘সিএএ দেশের আইন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে এই নিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। আমাদের দল সিএএ কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর।’
এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের লক্ষ্য স্থির করে ৭৭-এ আটকাতে হয়েছিল বিজেপিকে। আর এবার লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ আসনের লক্ষ্য স্থির করে এগোচ্ছেন শাহ। যদি এই লক্ষ্যের ধারের কাছে বিজেপিকে পৌঁছাতে হয়, তাহলে সিএএ তাদের জন্য বড় হাতিয়ার হতে চলেছে। কারণ, সিএএ-র কারণেই পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া ভোট বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল গতবার। এর দৌলতেই উত্তরবঙ্গসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। এই আবহে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠকে সিএএ নিয়ে প্রত্যয়ী ছিলেন শাহ। বৈঠকের পর বিজেপির তরফ থেকে শাহের বক্তব্যের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তাতে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য কাজ করতে হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকারের অর্থ হবে গরু পাচার রুখে দেয়া, সিএএ কার্যকর করা।’
উল্লেখ্য, বিগত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভালো ফলের নেপথ্যে একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল মতুয়াদের সমর্থন। এবং সিএএ-র প্রতিশ্রুতির মাধ্যমেই সেই সমর্থন পেয়েছিল বিজেপি। তবে পার্লামেন্টে আইন পাশ করেও তা কারযকর করতে সক্ষম হয়নি মোদি সরকার। রেকর্ড সংখ্যক বার আইন কার্যকর করার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সবের মাঝেই প্রশ্ন উঠেছে, সিএএ কি আদৌ কার্যকর কর সম্ভব?
অবশ্য, বঙ্গ বিজেপির নেতারা থেকে থেকেই দাবি করে এসেছেন, সিএএ আসবেই। কেউ কেউ আবার সময়সীমাও দিয়ে দেন তা নিয়ে। তবে আদতে সিএএ এখনো কার্যকর হয়নি। কবে হবে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না অমিত শাহ নিজেও। এর আগে শাহ দাবি করতেন, ‘কোভিড যাক, নিয়ম বানিয়ে কার্যকর করা হবে সিএএ’।
এদিকে কোভিড চলে গিয়ে স্বাভাবিক হয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। তবে সিএএ-র নিয়ম এখনো তৈরি হয়েছে কি না, তা জানেন না সাধারণ দেশবাসী। তবে শাহের দাবি, সিএএ কার্যকর হবেই। আর শাহের এই বক্তব্যকে পালটা হাতিয়ার করে প্রচারে নামতে পারে তৃণমূলও। তবে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন লোকসভা ভোটে যে সিএএ বড় ইস্যু হতে পারে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বর্ষশেষে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com