সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

আলোকিত জীবন

জাহিদ হাসান সিফাত
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র- এ নিয়েই মানুষের জীবন। তাই সভ্য জীবনযাপনের জন্য এগুলোকে সভ্য করা আবশ্যক। সে জন্য রাসূলুল্লাহ সা: আমাদেরকে দিয়েছেন একটি পূর্ণাঙ্গ ফর্মুলা ‘ইসলাম’। ‘নিশ্চয় আল্লাহর কাছে মনোনীত জীবনব্যবস্থা হলো ইসলাম।’
একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বৃদ্ধকালের প্রতিটি বিষয় ইসলামে বর্ণিত হয়েছে। যেমন একটি শিশুকেসালাত ও ধর্মের প্রতি অভ্যস্ত করে তুলতে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে সালাতের কথা বলো। ১০ বছর হলে তাকে শাসন করো ও বিছানা আলাদা করে দাও।’ (আবু দাউদ-৪৯৫) শিশু-কিশোরদের আদব ও শিষ্টাচার শিক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশ- ‘যে ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান করে না সে আমার উম্মত নয়।’ (তিরমিজি-১৯২১) যুবকদের প্রতি ইসলাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘বার্ধক্যের আগে যৌবনের মূল্যায়ন করো।’ (তারগিব তারহিব-৩৩৫৫) পারবারিক জীবন গোছালো ও সুশৃঙ্খল করার জন্য ইসলাম আমাদেরকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে। পরিবারের একে অপরের অধিকারের প্রতি লক্ষ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কুরআনে নির্দেশ এসেছে- ‘তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সাথে উত্তম আচরণ করো।’ (সূরা নিসা-১৯) রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো সে, যে তার পরিবারের কাছে সর্বোত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে সর্বোত্তম।’ (আবু দাউদ-৪৬৮২)
সুষ্ঠু সমাজ গঠনে ইসলাম আমাদেরকে সামাজিক বহু দায়দায়িত্ব ও শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে। ইসলামী সমাজে মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করে সমতার ঘোষণা করেছে। একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আচরণ করতে আদেশ দিয়েছে। হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ করো না। একে অপরের পেছনে পড়ে দোষ তালাশ করো না। অন্যের বেচাকেনার ওপর অপরজন বেচাকেনা করো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা ও ভাই ভাই হয়ে থাকো। মুসলমান মুসলমানের ভাই। মুসলমান মুসলমানের প্রতি জুুলুম করে না এবং তাকে অপদস্থ ও হেনস্তা করে না।’ (মুসলিম-১৫১০)
ইসলাম একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। ইসলামী ইতিহাসেই সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধানের কথা পাওয়া যায়। বিচারব্যবস্থায় ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আপনি যদি বিচার করেন তাহলে তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত বিচার করুন। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়বিচারকদের ভালোবাসেন।’ (সূরা মায়িদা-৪২) রাসূল সা : বলেন, ‘ন্যায়পরায়ণ শাসক কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়ায় থাকবে।’ (বুখারি-৬৬০) মানুষের জীবনের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর বিষয়েও ইসলাম সুন্দর সমাধান দিয়েছে এবং সৃজনশীল বাস্তবমুখী নির্দেশনা দিয়েছে। সুতরাং আমাদের আলোকিত জীবন গড়তে হলে ইসলামই একমাত্র মাধ্যম। লেখক : জামিয়া রাহমানিয়া আজিজিয়া মোহাম্মদপুর, ঢাকা




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com