ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গত পাঁচ দিন যাবত বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান। গত মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকা তার প্রেমিকের বাড়িতে আসার পর বিষয়টি নিয়ে বুধবার দুপুরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিস দরবার হয়। সেই শালিসে সমাধান না হওয়ায় মেয়েটি অসুস্থতা বোধ করলে গত বুধবার রাতে স্থানীয়রা মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার ছেলের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করছে ওই তরুণী। জানা যায়, ভালুকা মেহেরাবাড়ি লাবিবা সুয়েটার কারখানায় কাজ করার সুবাদে প্রায় চার বছর আগে ফারুক মিয়ার(২৮) সঙ্গে এক সন্তানের মা সুমি আক্তারের(২২) পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এঅবস্থায় গত এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক মেলামেশাসহ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছিলেন। এঅবস্থায় ফারুক ওই তরুনীকে বলে তাঁর স্বামীকে তালাক দিলে তবেই সে তাঁকে বিয়ে করবে। ফারুকের কথায় ওই তরুণী তাঁর স্বামীকে বেশ কিছুদির আগে তালাক দেয়। কিন্তু এরপর থেকে ফারুক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওই অবস্থায় অনেক খোঁজাখোঁজির পর ফারুককে না পেয়ে বিয়ের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ফারুকের বাড়িতে এসে অবস্থান নেন ওই তরুণী। এদিকে তরুণী আসার পর বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় ফারুক। সুমি আক্তারের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার পাইসকা ইউনিয়নের ধরচন্দ্রবাড়ি গামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। অপরদিকে ফারুকের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সাগুলী গ্রামের আবু বকরের ছেলে। সুমি ও ফারুক দুজনেই একই কোম্পানিতে চাকুরী করে। সুমি আক্তার বলেন, ফারুক আমাকে বলেছে স্বামী-সন্তান ছেড়ে আসলে আমাকে বিয়ে করবে। আমি তাঁর কথায় সব করেছি। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরণ ছাড়া উপায় নাই। এ বিষয়ে ফারুকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে ফারুকের মা সেলিনা আক্তার বলেন, আমার ছেলে কোথায় আছে বলতে পারিনা। এই মেয়ে যদি অবিবাহিত হতো তাহলে বিবাহের বিষয় নিয়ে চিন্তা করে দেখতাম, একটা বিবাহিত মেয়েকে জীবনেও আমার ঘরের বউ করবো না। জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু বলেন, ওই মেয়ে গত বুধবার পরিষদে এসেছিলো। সবকিছু শোনার পর এবং মেয়ের কাছ থেকে কিছু প্রমাণ দেখার পর ছেলের অভিভাবকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলি। কিন্তু বিবাহিত হওয়ায় এই শর্তে তাঁরা রাজি হয়নি। পরে আমি মেয়েকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।