শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

বাসস :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪

নৌকার প্রার্থীদের জন্য ভোট প্রত্যাশা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। এ নৌকাই পারবে মানুষকে উন্নত জীবন দিতে, শান্তি-সমৃদ্ধি দিতে। এই নৌকায় আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকায় ভোট দেবেন। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যই আজকের নির্বাচন। কাজেই এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন। আপনার ভোট আপনি রক্ষা করবেন আর অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী বিএনপি-জামায়াতকে উপযুক্ত জবাব দেবেন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেবল নিজে নয়, পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
ফরিদপুর, মাগুরা ও রাজবাড়ী জেলার নির্বাচনী আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কার প্রার্থীদের আপনাদের দিয়ে গেলাম। তারা আপনাদের সেবা করবে, আসনবাসীর সেবা করবে। আপনারা তাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন। এসময় টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় না, টাকা দিয়ে মানুষকে কেনা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ‘তরুণ সমাজ বা তারুণ্যই হচ্ছে উন্নয়নের অগ্রদূত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ভোট প্রত্যাশা করেন এবং অন্যান্য নির্বাচনী জনসভার মতো প্রথমবারের মতো ভোটারদের নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শরিক হওয়ার আহ্বান জানান। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ আসনের প্রার্থী শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী, মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী সাকিব আল হাসান, রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থী ঝিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর থেকে বেলায়েত হোসেন লিটন বিশেষ প্রতিনিধি জানান:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নৌকা প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনার লক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফরিদপুর- (৩ আসন ফরিদপুর সদর) এর নৌকা  প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক এর নির্বাচনী জন সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকালে সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে শামীম হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার ?আগমন উপলক্ষে ? ফরিদপুর শহরে ?সাজসাজ রব ? বিরাজ করতে থাকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই। জেলার নয়টি উপজেলা থেকে আওয়ামীলীগের হাজার হাজার নেতা কর্মীরা মিছিলসহ শ্লোগানে শ্লোগানে জনসভা স্থলে আসতে থাকলে বিকালে জনসভা স্থল জনসমুদ্রে পরিনত হয়। পুরো শহর জুড়েই ছিলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চাদরে মোড়ানো। বিকাল তিনটা ১৫ মিনিটের দিকে প্রধান মন্ত্রী জনসভা স্থলে পৌছালে ফরিদপুরের নেতা কর্মীরা শ্লোগান ও ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেয়। তার আগে প্রধান মন্ত্রী ফরিদপুর এসে সার্কিট হাউসে কিছু সময় অবস্থান করেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় আরো উপস্থিত ফরিদপুর ১ আসনের নৌকার প্রার্থী আওয়ামিলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, ফরিদপুর -২ আসনের নৌকার প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীসহ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। বিশ্ব ক্রিকেটের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফরিদপুরের নৌকা প্রতীকের সকল প্রার্থীদেরকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এছাড়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইসতিয়াক আরিফসহ জেলা ও নয় উপজেলার আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ফরিদপুরে এসেছি নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার জন্য, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি, আওয়ামীলীগ যখন যুদ্ধের পরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে তখন কোন রিজার্ভ মানি ছিলোনা, কিন্তু দেশ সঠিক ভাবেই পরিচালনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৫ আগষ্ট নির্মম ভাবে ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে হত্যা করে। আল্লাহুর অশেষ রহমতে আমি ও আমার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারনে প্রাণে বেঁচে যাই। তিনি আরো বলেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এ দেশের জনগনের সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলাম, আমি জাতির পিতার কন্যা কারো কাছে মাথা নত করার নয় করবোওনা। আমি ঘোষণা দিয়ে ছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সেটা করেছি, শিক্ষাক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছি। যোগাযোগ ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী ট্যানেল এক যুগান্তকারী অর্জন। বয়স্ক, শিশু, প্রতিবন্ধী, বিধবাভাতাসহ অনেক ধরনের ভাতা প্রবর্তন করেছি আমরাই। টিসিবির মাধ্যমে কম দামে চাল, ডাল তেলসহ অন্যন্ন খাদ্যসামগ্রী দারিদ্র্যেদের মাঝে পৌছে দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, বছরের প্রথম দিনে কোমলমতি শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরেছি। তিনি দীর্ঘক্ষন তার সরকারের উন্নয়নের উপর বক্তব্য রাখেন, সর্বশেষে তিনি আবারো আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com