শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দাবা খেলতে খেলতেই মারা গেলেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া আসমা আব্বাসীর ইন্তেকাল রোহিঙ্গা সঙ্কট: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও সহায়তা কমছে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় হাতের টানে ঊঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ দেবিদ্বারে ঝূঁকিপূর্ণ সেতুতে চালক ও যাত্রীদের আতংকে পারাপার পাঁচবিবিতে বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু গাইবান্ধায় দিনমজুরের বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাট কোটা বাতিলের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কালীগঞ্জে মিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের মিছিল ফরিদপুরে টানা চতুর্থ দিনের মতো চলছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি

সালাতে অলসতা নয়

মিজান ইবনে মোবারক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪

সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রোকন। কুরআন ও হাদিসে একাধিক জায়গায় সালাতের বিষয় বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘এবং তোমরা সালাত কায়েম করো, জাকাত আদায় করো ও রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।’ (সূরা বাকারাহ-৪৩) ইরশাদ হয়েছে- ‘তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিঃসন্দেহে তা কঠিন মনে হয় তবে তাদের পক্ষে কঠিন নয়, যারা ধ্যান ও বিনয়ের সাথে সালাত পড়ে।’ (সূরা বাকারাহ-৪৫)
প্রত্যেক সুস্থ, বোধশক্তিসম্পন্ন ও প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর ওপর সালাত ফরজ। এক দিকে সালাত আদায় করা যেমন আবশ্যক, অন্য দিকে সালাত আদায়ে রয়েছে জীবনের প্রকৃত সফলতা। ইরশাদ হয়েছে- ‘হে মু’মিনরা! রুকু করো, সিজদা করো, তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো এবং সৎকর্ম করো- যাতে তোমরা সফলতা অর্জন করতে পারো।’ (সূরা হজ-৭৭) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- ‘সেসব মু’মিন সফলকাম, যারা তাদের সালাতে বিনয়াবনত থাকে।’ (সূরা মু’মিনুন : ১-২)
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মুসলিম বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম ফরজ সালাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি সে তা পূর্ণরূপে আদায় করে থাকে (তবে তো ভালো)। অন্যথায় বলা হবে, দেখো তার কোনো নফল সালাত আছে কি না? যদি তার নফল সালাত থেকে থাকে, তবে তা দিয়ে তার ফরজ সালাত পূর্ণ করা হবে। অতঃপর অন্যান্য সব ফরজ আমলের ব্যাপারেও অনুরূপ ব্যবস্থা করা হবে।’ (ইবনে মাজাহ-১৪২৫) তাই সালতের ব্যাপারে যতœবান হওয়া প্রতিটি মু’মিনের কর্তব্য। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে- ‘তোমরা সালাতের প্রতি যতœবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি এবং আল্লাহর সামনে বিনীতভাবে দ-ায়মান হও।’ (সূরা বাকারাহ-২৩৮)
সালাত হলো বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে মেলবন্ধনের সেতু। সালাত ত্যাগ করার কারণে সে মেলবন্ধন তৈরি হয় না। একপর্যায়ে সে কুফরের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ ব্যাপারে সতর্ক করে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা।’ (তিরমিজি-২৬১৮)
মুনাফিক ব্যতীত কেউ সালাতে অলসতা করে না। তারা যখন সালাত পড়ে তাতে থাকে না কোনো একাগ্রতা ও স্থিরতা। লোকদেরকে দেখানোর জন্য কোনোরকম সালাত পড়ে থাকে। এদের সম্পর্কে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘আর তারা যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন অলসতার সাথে দাঁড়ায়। তারা মানুষকে দেখায় আর আল্লাহকে খুব সামান্যই স্মরণ করে।’ (সূরা নিসা-১৪২)
শরঈ ওজর ব্যতীত সালাত ত্যাগ করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই; বরং সালাতে অলসতাকারীদের জন্যও রয়েছে দুর্ভোগের কথা। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন- ‘বড় দুর্ভোগ সেসব মুসল্লিদের, যারা তাদের সালাতে গাফিলতি করে। যারা মানুষকে দেখায় (লোক দেখানো নামাজ পড়ে)।’ (সূরা মাউন : ৪-৬)। লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া রশিদিয়া এমদাদুল উলুম, গৌরনদী, বরিশাল




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com