অবসর পেলেই ভারতীয় তারকারা ছুটে যান মালদ্বীপে। দেশটির বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজও হয় সেখানে। কিন্তু সেই মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়ীজ (এফডব্লিউআইসিই)।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী অবমাননাকর বিবৃতি দিয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজকদের মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়ীজ (এফডব্লিউআইসিই); যার মোট সদস্য সংখ্যা ৫ লাখ।
এ বিবৃতিতে এফডব্লিউআইসিই বলেছে, ‘‘মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীর সম্মানহানিকর বিবৃতির ফলে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে বিরোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে নিয়ে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন, হাস্যকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে, শ্রমিক, টেকিনিশিয়ান ও শিল্পীদের সবচেয়ে প্রাচীন এবং বৃহত্তম ফেডারেল সংস্থা ‘ফেডারেশ অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়ীজ’ (এফডব্লিউআইসিই)।’’ মালদ্বীপে শুটিং না করার পরামর্শ দিয়ে এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মালদ্বীপে সিনেমার শুটিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এফডব্লিউআইসিই-এর সদস্যরা। মালদ্বীপের পরিবর্তে শুটিংয়ের জন্য ভারতের অনুরূপ কোনো স্থান বেছে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। এতে করে ভারতের পর্যটন শিল্প আরো বিকশিত হবে। মালদ্বীপে সিনেমার শুটিং কিংবা প্রোডাকশন সংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রম না করার জন্য ভারতের সমস্ত প্রযোজকদের পরামর্শ দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে।’
লাক্ষাদ্বীপ বা লক্ষদ্বীপ ভারতের কেন্দ্রশাসিত একটি অঞ্চল। ৩৬টি দ্বীপের একটি দ্বীপপুঞ্জ এটি। ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লক্ষদ্বীপ সফরের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এরপরই মালদ্বীপের যুব অধিকার, তথ্য ও শিল্প বিষয়ক উপমন্ত্রী মরিয়ম শিউনা এই বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। মূলত, তারপরই তৈরি হয়েছে বিরোধ। শুধু এফডব্লিউআইসিই নয়, বলিউড অভিনেতা সালমান খান, অক্ষয় কুমার, শ্রদ্ধা কাপুরও মালদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করে লাক্ষাদ্বীপ বা লক্ষদ্বীপ ভ্রমণের কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন।