সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

আমি অটো চয়েজের খেলোয়াড় না, স্ট্রাগল করতে হয়: শেখ মেহেদি

স্পোর্টস ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪

মেহেদি হাসান মিরাজের মত চৌকশ ক্রিকেটারকে একাদশের বাইরে নিয়ে তাকে খেলানো হয়েছে। তিনি নিজের অপরিহার্যতার প্রমাণও দিয়েছেন। এই তো দু সপ্তাহর কিছু আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের মাঠে দারুণ অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স (১৬ বলে অপরাজিত ১৯ এবং ২/১৪) দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন শেখ মেহেদি হাসান। কিউইদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের রূপকার ও নায়ক হওয়া, অনেক বড় কৃতিত্ব ও বিশেষ অর্জন। সেটা কি বিপিএলে ভালো খেলার অনেক বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে? শেখ মেহেদি অবশ্য তা মনে করেন না। তার মনে হয়, একদিন ভালো খেলার পর আরেকটি ম্যাচ নতুন চ্যালেঞ্জ। তাই আগের ম্যাচের পারফরম্যান্স কখনই পরের ম্যাচে ভালো খেলার নিশ্চয়তা না। রংপুর রাইডার্সের হয়ে এবারের বিপিএল খেলতে নামার আগে এ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মনে করেন, ‘ওইভাবে নিজের চিন্তা করি, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ওইভাবে চিন্তা করে। গত ম্যাচে আপনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ বা সিরিজ হয়েছেন এই হিসেব করে কোনো খেলোয়াড়ই খেলে না। যেদিন যার থাকে, সেদিন নিয়ে সে ব্যস্ত থাকে।’
টি-টোয়েন্টিতে তিনি অটো চয়েজ, এমনটাও মনে করেন না শেখ মেহেদি। তার কথা, ‘আমি অটো চয়েজের খেলোয়াড় না। আমার অনেক কিছু স্ট্রাগল করে খেলতে হয়। দেখা যাচ্ছে ১০ ম্যাচ, ১৫ ম্যাচ পর একটা সুযোগ আসে। ওই সুযোগটা আমি নিজের জন্যই মুখিয়ে থাকি। সুযোগ আসবে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকি, চেষ্টা করি। বাদ বাকি যা হওয়ার আল্লাহর ইচ্ছা।’ শেখ মেহেদির একটা আলাদা শক্তির জায়গা আছে। ঘরোয়া লিগ কিংবা জাতীয় দল, পাওয়ার প্লেতে তার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়করা। পাওয়ার প্লের বোলিং আলাদাভাবে অনুশীলন করেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে মেহেদি বলেন, ‘না, এরকম কিছু না। দেখুন, একজন বোলার হিসেবে নিজেকে যখন তৈরি করেছি তখন অভ্যাস আছে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করার। এটা আমার কাছে ম্যাটার করেন না।’
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাকিব আল হাসানের দল রংপুর রাইডার্সে এবার খেলবেন। দারুণ অনুপ্রানিত ও উজ্জীবীত শেখ মেহেদি। তার কথা, ‘সাকিব আল হাসান থাকা মানে একটা দলের প্রাণভোমরা।’ বিপিএল নিয়ে কোনো বিশেষ লক্ষ্য? কিছুতেই তা মুখ ফুটে বলতে নারাজ শেখ মেহেদি, ‘লক্ষ্য তো ভেতরেই থাকে, লক্ষ্য ভেতরে থাকাটাই ভালো। ইনশাআল্লাহ। দেখা যাক কী হয়।’ রংপুর রাইডার্সই একমাত্র দল, যাদের নিজস্ব স্পোর্টস কমপ্লেক্স আছে। প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ অনেক ভালো। এটাকে বাড়তি অ্যাডভান্টেজই মনে করছেন শেখ মেহেদি।
অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমার জানামতে রংপুরের মতো সুযোগ-সুবিধা কোনো দলের নেই। আমরা গতবারও এখানে অনুশীলন করেছিলাম। এমন পরিবেশে অনুশীলন করতে পারলে ভালো লাগে, অনেক সময় পাওয়া যায়। দেখা যায় মিরপুরে ২ ঘণ্টা সময় থাকে, সব দল একসঙ্গে অনুশীলনের জন্য থাকে। সেখানে নির্দিষ্ট কোনো স্কিল নিয়ে কাজ করা যায় না। এরকম গ্রাউন্ড থাকলে, যার যেটা সমস্যা অল্প সময়ের মাঝে চেষ্টা করতে পারে। কিভাবে নিজের উন্নতি করা যায়। আমরা ভাগ্যবান রংপুর দলে এমন সুযোগ-সুবিধা আছে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com