বিশ্বের শীর্ষ পাঁচজন ধনী ২০২০ সাল থেকে তাদের সম্পত্তি দ্বিগুণেরও বেশি করেছে। এই একই সময়ে বিশ্বে দরিদ্র হয়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষ। গতকাল সোমবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ব্যবসায়িক অভিজাতদের বার্ষিক সমাবেশ থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী দাতব্য সংস্থা অক্সফাম এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার অক্সফাম প্রকাশিত ‘ইনইকুয়ালিটি ইনকর্পোরেটেড’ রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত চার বছরে প্রতি ঘণ্টায় ১৪ মিলিয়ন ডলারের হারে তাদের সম্পদ বৃদ্ধির পর এই পাঁচজন ব্যক্তির সম্পদের সম্মিলিত মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলারে (১ বিলিয়ন = ১০০ কোটি)। এই পাঁচ ব্যক্তি হলেন- এলভিএমএইচ -এর প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, অ্যামাজনের জেফ বেজোস, বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট, ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক।
এ সময়ে সম্পদশালী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। তিনি টেসলা ও স্পেসএক্সসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা চালান। গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ৭৩৭ শতাংশ বেশি। এরপরই রয়েছেন ফরাসি বিলাসী পণ্যের জায়ান্ট এলভিএমএইচের চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট। একই সময়ে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯১.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ১১১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়ে ঠেকেছে ১৬৭.৪ বিলিয়ন ডলারে, যা বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
অন্যদিকে এ সময় ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বেড়ছে ১০৭ শতাংশ। আর বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ এ সম,য়ে ৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯.২ বিলিয়ন ডলারে। অক্সফাম বলেছে, এই পাঁচ ব্যক্তির সম্পত্তি দ্বিগুণ বৃদ্ধি সত্ত্বেও একই সময়ে দরিদ্র হয়েছে ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) মানুষ। দারিদ্র্য বিরোধী গোষ্ঠী অনুসারে, যদি বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে এক দশকের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিওনিয়ার (১ লাখ কোটি) হবে কিন্তু ২২৯ বছরের মধ্যে দারিদ্র্য নির্মূল হবে না। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের অন্তর্র্বতীকালীন নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ বেহার বলেছেন, কারো কাছে এক বিলিয়ন ডলার থাকা উচিত নয়। সূত্র : আল-জাজিরা