শীতে কাবু সারা দেশ। তাপমাত্রা আগের মতোই অপরিবর্তিত আছে। বরং চট্টগ্রাম বিভাগের দিকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে এসেছে। এদিকে ১৬ জেলার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ১, যা মঙ্গলবার ছিল ১৩ দশমিক ৮। এছাড়া ১১ ডিগ্রির নিচে থাকা অ লগুলো হচ্ছে— চট্টগ্রামের সীতাকু-ে ৯.৫, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৯.৬, বরিশালে ৯.৭, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯.৮, গোপালগঞ্জে ১০.৪, ভোলা ও ফরিদপুরে ১০.৫, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১০.৬, ফেনী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও প গড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০.৭, যশোর ও মাদারীপুরে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমা ল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। কুয়াশার কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।