বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

মহাদেবপুরে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে বোরো চাষ

মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কোথাও নলকূপ দিয়ে চলছে সেচ। কোথাও ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ। আবার কোথাও কোথাও ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে চারা। মাঠের পর মাঠ জমি তৈরি, চারা তোলা আর রোপণে মহাব্যস্ত কৃষক। চলছে বোরো আবাদের ধুম। প্রতিদিন পূর্ব দিগন্তে সূর্যের আলো ফুটে ওঠার আগেই ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন চাষিরা। সবমিলিয়ে উদ্দেশ্য একটাই চাষাবাদ করতে হবে বোরো ধান। এদিকে, প্রচ- শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবুও থেমে নেই ধান চাষিরা। কৃষি বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ। গত মৌসুমে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় এবং বাজারে কৃষি উপকরণ সার, তেল এর পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে বোরো চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে বোরো চাষ হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। বোরো চাষিরা জানান, প্রচন্ড শীতের কারনে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না। এ কারনে অনেকাংশে শ্রমিক সংকটের পাশাপাশি তাদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হচ্ছে। তাদের এই চাহিদা মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, উপজেলায় এবার ২৮ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ২৭ হাজার ৬৫ ও হাইব্রিড এক হাজার ১৯০ হেক্টর। এ পরিমান জমিতে বোরো চাষ করতে ১ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বীজতলা তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৫ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতেু এখন বোরো লাগানো শুরু হয়ে গেছে। চারাও রোপণ যোগ্য হয়ে উঠেছে। ফলে এখন আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে বীজতলা নষ্ট হবার সম্ভবনা নেই। আর যাদের চারা এখনো ছোট আছে, তাদের পরামর্শ দিচ্ছি বিকেলে বীজতলা ঢেকে রেখে সকালে বেলা বাড়ার সাথে সাথে খুলে দিতে। মাঠ পর্যায়ে তারা কৃষকদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com