বলিউডের সুকণ্ঠী মিষ্টি সুরের গায়িকা বলে পরিচিত শ্রেয়া ঘোষাল। এ ইন্ডাস্ট্রির সেরা শিল্পীদের একজন বলেও তাকে গণ্য করা হয়। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি একের পর এক সুপার হিট গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন।
সঞ্জয় লীলা বনসালী পরিচালিত ‘দেবদাস’সিনেমার মাধ্যমে শ্রেয়া ঘোষালের বলিউডে যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে একের পর এক গানের প্রস্তাব তিনি। সময়ের সঙ্গে প্রথম সারির প্লেব্যাক শিল্পীদের তালিকায় নাম উঠে আসে এ শিল্পীর। শ্রেয়া ঘোষাল দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীত জগতে রাজত্ব করছেন। বলিউড হোক বা টালিউড, সব ইন্ডাস্ট্রিতেই অবাধ বিচরণ এ বাঙালি গায়িকার। সিনেমার সাফল্যের উপর নির্ভরশীল নয় তার গানের জনপ্রিয়তা। বরং কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম উদারহণ দেখা যায়। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচবার ভারতের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেয়া। বাংলা এবং হিন্দি ছা়ড়াও তামিল, তেলুগু, একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি।
শৈশব থেকেই গানবাজনার প্রতি অমোঘ আকর্ষণ শ্রেয়ার। শৈশব থেকেই শুরু হয় তার সংগীতচর্চা। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন শ্রেয়া। তখন থেকেই গানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত তার জীবন। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন শ্রেয়া। সেই অনুষ্ঠানের হাত ধরেই প্রথম জনপ্রিয়তা পান। রিয়েলিটি শোয়ে বিজয়ীর শিরোপা ওঠে তার মাথায়। তার পরেই বলিউডে যাত্রা শুরু হয়। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি গানের জন্য ২৫ লাখ রুপি করে পারিশ্রমিক নেন শ্রেয়া। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩ লাখ টাকারও বেশি। তবে এ বিষয়ে শ্রেয়া বা তার টিমের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানা যায়নি।