মিরসরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া এলাকার গড়িয়াশ গ্রামে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভাবে গাজর চাষ হয়েছে। এই উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি গাজর চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এছাড়া সবজি ও সালাদ হিসেবে সমাদৃত এ ফসল চাষে খরচ কম, লাভও হয় অনেক বেশি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেকটা রোগবালাইমুক্ত হওয়ায় গাজর চাষে সফল হবেন বলে আশাবাদী উপজেলার কৃষি অফিস। চলতি মৌসুমে পরিক্ষামুলক ভাবে প্রায় ৫০ শতক জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে গাজরের চাষ করা হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। কৃষক ও কৃষি অফিসসুত্রে জানা যায়, একবার গাজর চাষ করে কমপক্ষে ৩ দফা গাজর উৎপাদন করা যায়। এ ছাড়া গাজর গাছের ডালপালা গবাদি পশুর খাবার হিসেবেও বেশ চাহিদা রয়েছে। আর এর শিকড়গুলো জৈবসার হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। বর্তমানে হাট-বাজারে গাজরের দাম ভালো আর চাহিদা বেশি থাকায়, অল্প পরিশ্রমের বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ ফসলটি চাষ করে স্বাবলম্বী হবেন বলে আশা করছেন গাজর চাষী নুর আলম। গাজর চাষী নুর আলম বলেন, আমি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২১ শতক জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে প্রথমবারের মতো গাজর চাষ করেছি। সব মিলে এই পর্যন্ত ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবো। বিশেষজ্ঞদের মতে গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যেগুলো ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় গাজরের রস লাগালেও উপশম হয়। গাজরের চাষ বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ রায় বলেন, গাজর চাষের জন্য কৃষক নুর আলমকে সার এবং বীজ দিয়ে সহায়তা করেছি। গাজর একটি উচ্চ মূল্যের ফসল। এটি ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল। আমরা আশা করছি মীরসরাই দিন দিন এর আবাদ বৃদ্ধি পাবে। গাজরসহ শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা ঋণ সহায়তা আর পরামর্শ পেলে আরও বেশি উৎপাদন করা সম্ভব বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।