পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সাইফার মামলায় আজ মঙ্গলবার তাকে এই দণ্ড দেয়া হয়। তার সাথে দলের সিনিয়র নেতা এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকেও একই মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক ক্যাবলের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন মামলার রায় ঘোষণা করেন। ওই আদালতে গত বছরের শুরু থেকে মামলাটির শুনানি চলছিল। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ২০২৩-এর আওতায় আদালতটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইমরান খান এবং কোরেশি উভয়েই কোনো অপরাধ করার কথা স্বীকার করেননি। মামলার রায়ের আগে বিচারক জুলকারনাইন পিটিআই নেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে তাদের আইনজীবীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রীয় আইনজীবী তাদের দেয়া হয়। এর এক দিন আগে শুনানির সময় ইমরান খান ও কোরেশি উভয়ে বিচার কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করেন।
মামলাটির সূত্রপাত ঘটে ২০২২ সালের ২৭ মার্চ। এর এক মাস পর এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। ২০২২ সালের ২৭ মার্চ এক জনসভায় বক্তৃতাকালে ইমরান খান একটি চিঠি প্রদর্শন করেন। তাতে তিনি দাবি করেন যে এটি এক বিদেশী জাতির কাছ থেকে পাওয়া সাইফার (গোপন কোডে লেখা কূটনৈতিক বার্তা)। এতে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক বিরোধীরা তার সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি চিঠির ভাষ্য প্রকাশ করেননি, কিংবা কোন দেশ থেকে এসেছে, তাও জানাননি। তবে কয়েক দিন পর তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে। আর তিনি জানান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তার অপসারণ চান। ওই সাইফারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাজিদের সাথে লুর বৈঠক নিয়ে।
ইমরান খান দাবি করেন, তিনি সাইফার থেকে সবকিছু পড়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হলে পাকিস্তানের সবকিছু ক্ষমা করা হবে। এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলায় দণ্ডিত হলেন ইমরান খান। এর আগে তোশাখানা মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তবে কোরেশির এটিই প্রথম কারাদণ্ড।
সূত্র : দি নিউজ, ডন