গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ্য প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই স্লোগান নিয়ে কাজ করছে সদ্য যোগদান করা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র। তিনি জরাজীর্ণ ভবনকে মেরামত করে দাপ্তরিক কাজকর্ম সহজ করেছে। অতীতে প্রকৃতি থেকে একটু ঝড়বৃষ্টি হলেই অফিসের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে পানি পডত এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভিজে যেত। সেগুলো আবার রোদে শুকিয়ে কাজ করতে হতো। কিন্তু এই সামাজিক বন বিভাগে বহু কর্মকর্তা আসলেন কিন্তু ভবন নিয়ে কারো কোন উন্নয়নের সদিচ্ছা হলো না। অথচ এই কর্মকর্তা যোগদান করেই জরাজীর্ণ ভবনকে মেরামত করে আধুনিকায়ন করে কুষ্টিয়া জেলাবাসীর নজর কেড়েছে। শুধু তাই নয় তিনি বৃক্ষরোপণসহ কুষ্টিয়ার সামাজিক বন বিভাগ উন্নয়নে কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এছাড়াও সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বন বিভাগের আওতায় অযথা বৃক্ষ নিধন রোধে কাজ করে চলেছেন এই কর্মকর্তা। তাছাড়াও বনবিভাগের সাথে জড়িত উপকারভোগীরা বাগান পরিচর্যা করছে এবং সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তারাও অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দেখ-ভাল করছে। শুধু তাই নয় সরকারি বিভিন্ন অফিস চত্বরে প্রয়োজনীয় বৃক্ষ কাটা ও স্বচ্ছভাবে মূল্য নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছেন এই বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র। পরিশেষে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উ”চারণ করে বলেন, কুষ্টিয়াতে বেশির ভাগ করাতকলের লাইসেন্স নেই। বন বিভাগের তালিকা অনুযায়ী যাদের লাইসেন্স আছে সেগুলো বাদে সকল উপজেলায় অবৈধ করাতকল বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতায় শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। কারন অবৈধ করাতকলের কারনে সরকারের রাজস্ব হাত ছাড়াসহ হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফরেস্টার তাপস কুমার সেনগুপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আওতাধীন সকল জায়গায় চারা রোপণ ও কোথাও চুরি করে বৃক্ষ নিধন করছে কিনা তা ঘুরে ঘুরে দেখভাল করছেন। এ প্রসঙ্গে ফরেস্টার তাপস কুমার সেনগুপ্ত বলেন, সরকার আমার উপর যে অর্পিত দায়িত্ব দিয়েছে সেটা আমি বা আমরা পালন করার চেষ্টা করি। তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, যত বেশি গাছ রোপন করা যাবে তত মানুষের শরীর সুস্থ্য থাকবে ও অক্সিজেনের অভাব হবে না। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সব কিছুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়া বনবিভাগেও ব্যাপক পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে।