মৌলভীবাজারে মনুমুখ ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্ণীতির অভিযোগ করেছেন ইউপির ৮ জন মেম্বার। টিসিবির মালামাল বিতরণে অনিয়ম-দূর্ণীতি ছাড়াও ডিপ টিউবয়েল দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েও ডিপ টিউবয়েল না দেয়াসহ নানা অভিযোগ করেছেন তারা চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। ইউপির মাসিক সভায় মেম্বারগণ এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান গত ৩ মাস যাবৎ মাসিক সভা বন্ধ রেখেছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারী মেম্বারগণ ইউপি অফিসের অতিথি কক্ষে চেয়ারম্যানের লুকিয়ে রাখা প্রতিটি ২ লিটার করে ৩৬ বোতল সয়াবিন তেল, প্রতিটি ২ কেজি করে ৩৬ প্যাকেট ডাল ও প্রতিটি ৫ কেজি করে ৩৬ প্যাকেট চাল উদ্ধার করেন এবং বিষয়টি সদর ইউএনওকে অবহিত করেন। এসব ঘটনায় সংক্ষুব্ধ মেম্বারগণ গত ৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক বরাবর এ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ- ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইউপির জন্য বরাদ্দকৃত অনুদানের টিআর, কাবিখা ইত্যাদির, হাটবাজার ও স্থানীয় সরকারের সকল বরাদ্দের এবং ইউপির আয়ব্যয়ের হিসাব মেম্বারগণকে অবহিত না করে ও কাজ না করিয়ে নিজের ইচ্ছামতো বিল তুলে নেন। প্রতিমাসে টিসিবির মালামালের কিছু অংশ বিতরণ করে বাকী মালামাল নিজে বিক্রিসহ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করে আসছেন। এসব বিষয়ে ইউপি সচিবও কোন সদুত্তর দেননা। অভিযোগকারীরা জানান- চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন ডিপ টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে ইউনিয়নের শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ২০-৪০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ডিপ টিউবওয়েল দিচ্ছেন না। এ নিয়ে ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কয়েকজন ভুক্তভোগীর মাঝে মধ্যে বাকবিতন্ডাও হয়েছে। এমন একটি বাকবিতন্ডার ভিডিও রেকর্ডও পাওয়া গেছে- যা এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় মুঠোফোনে জানতে চাইলে সদর ইউএনও নাসরিন চৌধুরী বলেন- বিষয়টি ডিসি স্যারের কাছে রয়েছে। তিনি খতিয়ে দেখে যা করার করবেন। তাই, এব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দেবো না। অভিযুক্ত মনুমুখ ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন বলেন- আমার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। কয়েকজন মেম্বার তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে আমার মানহানি করার লক্ষ্যে ডিসির কাছে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।