ঝিরঝিরে বাতাসে শুকনো ঝরা পাতার কাব্য মনে দোলা দেয়। পায়ে পায়ে মাড়িয়ে গেলে মর্মর ধ্বনি ওঠে। গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ার দৃশ্য বিষন্ন করলেও এক ধরনের মায়ায় ডুবিয়ে দেয়। নিয়ে যায় অন্য এক ভুবনে। বসন্তের আগমনে হঠাৎ করেই চোখে পড়লো, রাবার বাগানে গাছে।
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যে ভরপুর চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ । শুধু চায়ের জন্য বিখ্যাত তা নয়,পর্যটন খাতেও বেশ সুনাম রয়েছে। প্রকৃতিতে শীতকালের বিদায় নিয়েছে। আসছে বসন্তকাল। প্রতি বছরই এই সময় রাবার গাছের পাতা ঝড়ে মাটিতে নকশার মতো পরে থাকে। আর গাছে থাকে শুধু ডালপালা। গাছগুলো মরা গাছের মতোই দাড়িয়ে থাকে। সে এক অপরূপ দৃশ্য। রাবার বাগানে তাকালে মনে হয় যেনো আগুনে পুড়েগেছে পুরো বাগান। তবে বাগানে প্রবেশ করেলেই শোনা যায় শুকনো ঝড়া পাতার মর্মর শব্দ, মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বুধবার বিকালে মৌলভীবাজারের বেশ কয়েকটি রাবার বাগানে এমন দৃশ্য অবলোকন করা যায়। সারি সারি গাছের নিচে শুকনো পাতা ঝড়ে পড়েছে। আর গাছগুলো সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাতার মর্মর শব্দগুলো সত্যি মন কাড়ে। শুকনো পাতা রান্নার কাজে ব্যবহার করার জন্য কুড়িয়ে নিচ্ছেন স্থানীরা। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামিদিয়া চা বাগানের রাবার বাগানে গেলে দেখা যায় সারি সারি বস্তাবন্দী পাতা নিয়ে যাচ্ছেন মহিলারা। কথা হয় স্থানীয় গৃহিনী রুমেনা বেগম এর সাথে, তিনি জানান আমরা এই সময়ের ২/৩মাস পাতা কুড়িয়ে নিয়ে রান্নাবান্না করি এবং কেউ কেউ পাতা বস্তাবন্দী করে রাখেন যা আগামী ২ মাসের মত রান্নাবান্না করা যাবে।