৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় ডা. ইরান
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীকে বাদ দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস পুরোটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল ওসমানী একসূত্রে গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়ক হয়েও তাকে ভারতীয়দের পরিকল্পিত চক্রান্তের কারনে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ঐতিহাসিক আত্মসমর্পন কালে উপস্থিত রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, জেনারেল ওসমানী ছিলেন আদর্শ, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধের এক অনন্য প্রতীক। কিংবদন্তী এক মহানায়ক। অগ্নিপুরুষ ওসমানী এক মহান আদর্শের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্নিবাণ শিখায় ভাস্কর। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি ছিল তার অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারী শেখ মুজিব সকল রাজনৈতিকদল নিষিদ্ধ ও গণমাধ্যম বন্ধ করে গনতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল গঠন করার প্রতিবাদে যে দুইজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন তারা হলেন জেনারেল ওসমানী ও ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেন।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় ৮৫/১ নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে জেনারেল এম এ ওসমানীর ৪০তম মৃত্যুবাষির্কীতে মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল ওসমানী” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, জেনারেল ওসমানী ছিলেন আজীবন গণতন্ত্রী, ধার্মিক ও খাঁটি দেশপ্রেমিক। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন, তেমনি স্বাধীন দেশেও জাতির দুঃসময়ে কান্ডারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন এই বঙ্গবীর। অনেক সময় তিনি জাতিকে নির্ঘাত সংঘাত থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছেন। ওসমানী সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিবিদ ছিলেন না। চাটুকারিতা ও কপটতাকে তিনি কখনো ?প্রশ্রয় দেননি। ?রাজনীতি বলতে তিনি গণনীতি বুঝতেন। তার সততা, ন্যায়নিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ?আদর্শের প্রতি ?অঙ্গীকার ছিল তুলনাহীন। ওসমানীর উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের সামনে লুটেরা ও ??ধোকাবাজরা নিষ্প্রভ হয়ে পড়বে, ?এ ভয় থেকেই তাঁকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। লেবার পার্টির মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তাব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, এডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফ সরকার, মহানগর নেতা শামিম আহমেদ-সহ সিলেট মহানগর ও জেলা লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশন কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন ও সাধারন সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ। প্রেসনোট