বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে থামছে না কৃষি জমির মাটি কাটা কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ সারেংকাঠী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে ঢল নেমেছে স্বচ্ছ মনের প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ হকের পক্ষে শেরপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র খোকনের দায়িত্ব গ্রহণ অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা বশির আহমদ উপজেলার পর এবার সিলেট বিভাগেরও শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান কালীগঞ্জের আল-জাছির হলেন দেশ সেরা কালিয়ায় মক্কীনগর কবরস্থানের উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল ঈশ্বরগঞ্জে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা আরমান হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন

কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের পতিত জমিতে সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন আজাদ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

জেলার লালমাই পাহাড় এলাকার চাষি আবুল কালাম আজাদ। তিনি পাহাড়ের পতিত জমিতে লেবু, কলা, পেঁপে ও কচুমুখি চাষ করেন। এতে তার গত বছর লাভ হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। পাহাড়ের রূপবানমুড়া এলাকায় কলা, লেবু, মাল্টা, আনারস, আম, কাসাবা, পেঁপে ও মদিনানগর এলাকায় কচুমুখি চাষ করে স্থানীয় কৃষকদের তাক লাগিয়েছেন। সরেজমিনে পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড় ও তার ঢালুতে সবুজের সমারোহ। সবুজ থেকে চোখ ফেরানো দায়। নির্জন পাহাড়ে চলছে কাজের উৎসব। শ্রমিকদের কেউ লেবু তুলছেন। বাগানজুড়ে লেবুর মিষ্টি ঘ্রাণ। কেউ কলা ছড়িয়ে কাটছেন। কয়েকজন ব্যস্ত কচুর ছড়া তোলায়। হাত দিয়ে ছড়া পরিষ্কার করা হচ্ছে। কেউ পেঁপে পেকেছে কি না তা পরীক্ষা করছেন। আবুল কালাম আজাদের বাগানে ও জমিতে নিয়মিত ১০ জন শ্রমিক ও ফসল তোলার মৌসুমে আরও ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। বসে নেই চাষি আবুল কালাম আজাদও। সমানতালে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। এত পরিশ্রমের পরও তার মুখে লেগে আছে তৃপ্তির হাসি।
কৃষক আবুল কালাম আজাদ বাসসকে বলেন, কয়েকটি কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর ছিলাম। এতে খুব চাপ নিতে হয়। পাহাড়ে পরিবারের কিছু পতিত জমি ছিল। সেখানে প্রথমে লেবুর চাষ করি। প্রথম বছর ৫ লাখ টাকার চায়না লেবু-০৩ বিক্রি করি। পরে যোগ করি মাল্টা। এ বছর ৫ টন মাল্টা বিক্রি করেছি। আট বছর ধরে কচুর ছড়ার চাষ করছি। নতুন করে ড্রাগন, কাজুবাদাম ও কফির চারা লাগিয়েছি। কৃষিতে সময় দিয়ে আমি লাভবান হয়েছি। আমার পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে।
কৃষি তথ্য সার্ভিস কুমিল্লার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন মিজি বলেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস বিভাগের কাজে আমাদের বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে যেতে হয়। লালমাই পাহাড়ের পতিত জমিতে কৃষক আবুল কালাম আজাদ সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তিনি নিজে লাভবান হওয়ার সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ফল ফসলের জোগান দিচ্ছেন। এতে স্থানীয়রা সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারছেন।
সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাণিজ্যিক কৃষিকে এগিয়ে দেওয়া। আবুল কালাম আজাদ সে রকম একজন কৃষক। তিনি শুধু এক ফসলে পড়ে থাকেননি। তিনি লেবু, মাল্টা, আনারস, আমসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেছেন। তিনি গত বছর কৃষিপণ্য বিক্রি করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লাভ করেছেন। সামনের বছরগুলোতে তার আয় আরও বাড়বে। তার মতো অন্য শিক্ষিত তরুণরাও কৃষিতে এগিয়ে এলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com