টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড। যখন বাসস্ট্যান্ডটি দুই লেনের ছিল তখন কোন যানজট ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি বাসস্ট্যান্ডটি চলাচলের সুবিধার্থে ও যাটজটমুক্ত রাখতে চার লেনে রুপান্তর করা হয়। কিন্তু চার লেন করাতেই বেড়ে গেছে ভোগান্তি। যানজট নিরসনেও নেয়া হচ্ছে না পদক্ষেপ। সরেজমিনে ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখানে নির্ধারিত কোন বাস টার্মিনাল না থাকায় যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, লড়ি, রিক্সা, অটোরিক্সা ও সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন যত্রতত্র রেখে চার লেনের সড়কটির তিন লেনই দখল করে রেখেছে। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে লম্বা যানজটের। এ সময় জরুরী সেবার গাড়ি, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা যানজটে পড়ে বিপাকে পড়ছে। রাস্তার দু’পাশে ব্যবসায়ীদের দোকানগুলোর সামনে রাখা আছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস। দোকানগুলোতে ঠিকভাবে আসতে পারছে না ক্রেতা। তেমন কোন প্রশাসনিক ও পুলিশি তৎপরতা না থাকায় বেপরোয়া গতিতেই চলছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবহন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। যেখানে-সেখানে থামানো হচ্ছে আটোরিক্সা ও সিএনজি। স্কুল শিক্ষার্থী নিশি আক্তার ও সিয়াম বলেন, বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে আমাদের প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে সময়মতো যেতে পারি না। গাড়িগুলো যেভাবে তেড়ে আসে অনেক ভয় লাগে। বাসস্ট্যান্ডের দুই সাইডে অবস্থিত দোকান মালিকরা বলেন, আমাদের দোকানের সামনে যেখানে সেখানে বাস-ট্রাক রেখে দোকানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, এভাবে গাড়ি রেখে আমাদের অনেক ক্ষতি করছে। আমরা এর প্রতীকার চাই। এলোমেলোভাবে দোকানের সামনে রাস্তার ওপর বিভিন্ন যানবহন রাখায় আমাদের দোকান দেখা যায় না। মানুষজন ও ক্রেতা সাধারণ পণ্য কিনতে দোকানে আসতে পারে না। এতে খুবই ক্ষতির মুখে আছি। এ বিষয়ে ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল কে বলেও কোন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান দোকান মালিকগণ। পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বকল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যানজটমুক্ত করতে ও ভোগান্তি নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবাধে যানবাহন না রাখার জন্য বলা হচ্ছে। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।