রমজানের আগে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে রসুন ও খেসারি ডালের দাম বেড়েছে। দুটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০ টাকা বেশি দামে। বাজারে বেশ আগে থেকে আদা, রসুনের দাম চড়া। একই অবস্থা ছোলাসহ বিভিন্ন প্রকার ডালের দামেরক্ষেত্রে। ফলে ভোক্তাদের বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। রোজার আগে আর এসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা কম বলেই জানান ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় মসলার বাজার শ্যামবাজার। এখানকার বিক্রমপুর আরতের খোকন হোসেন বলেন, আগে প্রতি কেজি রসুন পাইকারিতে বিক্রি হতো মানভেদে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি দাম ছিল চীনের আমদানি করার রসুনের। কম ছিল দেশি রসুন। তবে বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। আদা আগের মতো মানভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ও রসুন ২২০ থেকে ২৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি খেসারির ডালের দাম ছিল ১০০ থেকে ১১০টাকা। এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০টাকা কেজি দরে। এবার রমজানের বেশ আগেই ছোলার দাম বেড়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি।
রামপুরা বাজারে বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, এবার রোজার অনেক আগেই থেকে ছোলা খেসারি ডালসহ অন্যান্য সব ডালের দাম চড়া। গত দুই তিন মাসের ব্যবধানে হিসাব করলে আগের তুলনায় প্রতি কেজির ডালের দাম ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের চড়া দামের কারণে এবার ডালের দাম বেশি। বাংলাদেশ পাইকারি ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফি মাহমুদ বলেন, ডালের আমদানি খরচ বাড়ছে। ডলারের দামের কারণে এ অবস্থা। তবে এরই মধ্যে রমজানের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ডাল দেশে আমদানি হয়েছে। রমজানের মধ্যে নতুন করে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই, কমার সম্ভাবনা কম।
অন্যান্য ডালের মধ্যে প্রতি কেজি মোটা, মাঝারি ও সরু দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি অ্যাঙ্কর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। আর মুগ ডালের কেজি পড়ছে ১৩০ থেকে ১৮০টাকা।