জেলায় বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ ফুল চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। এ জেলায় উৎপাদিত গোলাপের আলাদ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই বাজারে এর চাহিদাও বেশি। গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে ফুল চাষ করে কৃষকরা সাফল্য পাচ্ছিল না। তাই গত কয়েক বছর ধরে জেলার হোমনা, মুরাদনগর, বরুড়া, তিতাস, সদর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় গোলাপ চাষ শুরু করলেও সাফল্য আসেনি। তাই মাঝপথে এ চাষ বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি এ ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার কৃষক চারু মিয়া। মাটি উর্বর হওয়ায় ফলনও ভালো হচ্ছে। আশা জাগাচ্ছে আশপাশের কৃষকদের। চলতি বছর তিনটি জমির ৩০ শতাংশ জমিতে গোলাপ চাষে লাভবান হয়েছেন চারু মিয়া। নানা জাতের গোলাপ ফুটছে তার জমিতে। চারু মিয়ার এ গোলাপ কুমিল্লার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। শুরুতে শখের বশে হলেও লাভ হওয়ায় এখন তা পেশায় পরিণত হয়েছে। চারু মিয়ার চাষ দেখে বিস্মিত স্থানীয় কৃষকরা। তারা তার সাফল্যের গল্প বলে বেড়ান এলাকা জুড়ে। তার ব্যবসায় ব্যাপক সাফল্যে গর্বিত তারাও। চারু মিয়া বলেন, গোলাপ চাষ লাভজনক ও চাহিদা থাকার কারণে এ চাষের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, কুমিল্লা জেলার জমি উর্বর হওয়ায় এখানে সব ধরনের ফসল ফলে। তবে ফুলের ক্ষেত এ প্রথম সাফল্য পাওয়া গেছে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে গোলাপ চাষীদের সব ধরনের সহযোগিতাও দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।