সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত কিনোয়া চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। তবে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো চাষ করে বাজিমাত করেছেন মিরসরাইয়ের কৃষক দিলীপ নাথ। উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘরিয়াটোলা এলাকায় প্রায় ২৪ শতক জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় চাষ করেছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশে নতুন ফসল হিসেবে পরিচিতি পেলেও এ ফসলের বেশ চাহিদা ইউরোপ আমেরিকায়। সুপার ফুড নামে পরিচিত এ পণ্যে রয়েছে হাইপ্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তাই বৈশ্বিক বাজারে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কম খরচে মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। এছাড়া অন্য ফসলের তুলনায় সময়ও কম লাগে।
কৃষিবিদরা জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে কিনোয়া চাষ করতে ৫০০-৬০০ টাকা খরচ হয়। ফসল উৎপন্ন হবে ৪-৬ কেজি। কৃষকদের দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কিনোয়া চাষ করে সুফল পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে কিনোয়া চাষের অনুকূল পরিবেশ আছে। আমদানি করা কিনোয়ার প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৬০০ টাকা। দেশে ক্রমেই কিনোয়ার ক্রেতা বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৪ শতকের এ জমিতে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছে মিরসরাইয়ে। তবে ভালো ফলন দেখে কৃষক সন্তুষ্ট বলে জানায় কৃষি অফিস।
চাষি দিলীপ নাথ বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ রায়ের সহযোগিতায় ২৪ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো কিনোয়া চাষ করেছি। তিনি আমাকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করায় ভালো ফসল হয়েছে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বীজ বুনেছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারবো।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ রায় বলেন, ‘অনেকটা সরিষা চাষের পদ্ধতিতে হওয়ায় খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। ৪-৫ দিনের মধ্যে গাছ গজাতে শুরু করে। ১ মাস পর ইউরিয়া ব্যবহার করে জমি লোল আকারে করে মাটি উঁচু করে গাছগুলো সারিবদ্ধ করা হয়। ১০-১৫ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। আগামীতে কিনোয়া চাষের প্রচুর সম্ভাবনা আছে।’