বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে থামছে না কৃষি জমির মাটি কাটা কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ সারেংকাঠী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে ঢল নেমেছে স্বচ্ছ মনের প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ হকের পক্ষে শেরপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র খোকনের দায়িত্ব গ্রহণ অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা বশির আহমদ উপজেলার পর এবার সিলেট বিভাগেরও শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান কালীগঞ্জের আল-জাছির হলেন দেশ সেরা কালিয়ায় মক্কীনগর কবরস্থানের উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল ঈশ্বরগঞ্জে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা আরমান হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন

সিনেমাকেও হার মানাবে ওমর সানী-মৌসুমীর প্রেমকাহিনি

বিনোদন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা তারকা দম্পতি ওমর সানী ও মৌসুমী। ১৯৯৫ সালের ৪ মার্চ ভালোবেসে তারা বিয়ে করেছিলেন। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের একসঙ্গে পথচলার ২৯ বছর পার হয়েছে। একসঙ্গে দীর্ঘ এই পথচলায় এক ছেলে এবং এক মেয়ের অবিভাবক সানী-মৌসুমী। গতকাল সোমবার সেই তারকা জুটির ২৯তম বিবাহবার্ষিকী। বিশেষ এ দিনে ওমর সানী-মৌসুমীকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন তার সহকর্মী এবং ভক্তরা। কিন্তু কীভাবে হয়েছিল তাদের পরিচয়, প্রেম আর বিয়ে? জনপ্রিয় এ জুটির অসংখ্য ভক্ত সারা দেশে। তাদের নানা বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহও অনেক বেশি। সেগুলোরই একটি ওমর সানী-মৌসুমীর পরিচয়, প্রেম এবং বিয়ে। যা সিনেমার কাহিনিকেও হার মানায়। দুই তারকার বিয়ের বিশেষ দিনে পাঠকদের সেই কাহিনিই জানাচ্ছে ঢাকা টাইমস। নব্বইয়ের ফটোসুন্দরী মৌসুমীর প্রথম সিনেমা প্রয়াত সুপারস্টার নায়ক সালমান শাহর বিপরীতে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। এ কথা কম-বেশি সবারই জানা। কিন্তু অনেকেরই হয়তো অজানা যে, ওই সিনেমার মহরতেই প্রথমবার দেখা হয় সানী-মৌসুমীর। যদিও সেদিন তাদের কোনো কথা হয়নি।
এরপর নতুন একটি সিনেমায় ওমর সানীর বিপরীতে মৌসুমীকে নিতে চেয়েছিলেন সে সময়কার পরিচালক শেখ নজরুল ইসলাম। এ বিষয়ে কথা বলতে সানীকে নিয়ে মৌসুমীর বাসায় হাজির হন পরিচালক। ড্রয়িংরুমে অপেক্ষার ২০ মিনিট পর মৌসুমীর দেখা মিললেও সেদিন সানীর সঙ্গে সিনেমার অফার ফিরিয়ে দেন মৌসুমী। কারণ ব্যস্ত শিডিউল। সেদিনই প্রথম কথা হয় দুজনের। ১৯৯৩ সালে ওমর সানী-মৌসুমীকে নিয়ে আরও একটি সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা হয়। তবে সেই সিনেমার নাম ‘দোলা’ শুনে ওমর সানী শুরুতে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। কারণ নারীপ্রধান সিনেমা তিনি করতে চাচ্ছিলেন না। পরে সিনেমার গল্প পড়ে ভালো লাগায় রাজি হয়ে যান। প্রথমবার জুটি গড়েন সানী-মৌসুমী। ‘দোলা’র শুটিং চলাকালে সিলেটে আউটডোরে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। যদিও তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। এ সিনেমার সেট থেকেই মৌসুমীর প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয় ওমর সানীর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজে তা কবুল করেছেন।
ওমর সানী বলেছিলেন, ‘মনোমালিন্য হওয়ার পর মেয়েটার (মৌসুমী) জন্য মায়া লাগল। যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছিল সেটা হলো মৌসুমীর ব্যক্তিত্ব। অন্য যারা কাজ করতেন তাদের থেকে ও ছিল আলাদা। ভেতরে ভেতরে ওর জন্য ভালোবাসাও জন্ম নিলো।’ এরপর ১৯৯৫ সালে ‘আত্ম অহংকার’-এর শুটিং করতে সিলেটের জৈন্তাপুর যান সানী ও মৌসুমী। তত দিনে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া বেড়েছে। এই শুটিংয়ের সময়ও তাদের মধ্যে মান-অভিমান যেমন হয়েছে, তেমনি দুজনে অনেক মজাও করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছিলেন সিনেমাটির পরিচালক রায়হান মুজিব।
এই নির্মাতা জানান, ৩ নভেম্বর মৌসুমীর জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে দাওয়াত করেন মৌসুমী। দাওয়াত পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান সানী। কী উপহার দেওয়া যায় ভেবে পাচ্ছিলেন না। গলায় তখন সাড়ে তিন-চার ভরি ওজনের একটা স্বর্ণের চেইন ছিল। মৌসুমীকে সেই চেইন উপহার দিয়েছিলেন সানী। সেই চেইন ছিল মায়ের কাছ থেকে পাওয়া সানীর বিশেষ উপহার। একদিন সকালে ওমর সানীর তেজতুরী বাজারের বাড়ির সামনে গিয়ে থামে একটি মাইক্রোবাস। ঘোমটা পরা একটি মেয়ে সানীর মায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেই মেয়েটি ছিলেন মৌসুমী। তাকে দেখে ওমর সানীও অবাক!
ওমর সানীর ভাষ্য অনুযায়ী, ‘মৌসুমী এসেই আমাকে বলল, ‘সানী ভাই, আপনাকে নিয়ে আমি একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছি। তাই ভাবলাম, এফডিসিতে ঢোকার আগে আপনার সঙ্গে দেখা করে যাই।’ সে দিনই সানী বুঝেছিলেন, কিছু একটা হতে যাচ্ছে। এরপর ‘আত্ম অহংকার’ মুক্তির পর একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ওমর সানী মুখ ফসকে বলেই ফেলেন, ‘আমি মৌসুমীকে ভালোবাসি। ও আমাকে ভালোবাসে কিনা জানি না।’
সেই সাক্ষাৎকার পড়ে মৌসুমী অবাক হয়েছিলেন। প্রশ্নও করেছিলেন ‘এভাবে বলা কি আপনার ঠিক হলো?’ সানীর তখন সহজ উত্তর, ‘বলেছি তো বলেছিই। ঠিক হইছে কিনা জানিটানি না।’ তত দিনে ওমর সানীর মা-ও মৌসুমীকে ভীষণ পছন্দ করে ফেলেছেন। মৌসুমীর নানিরও সানীকে বেশ পছন্দ। এবার দুজন উদ্যোগী হলেন। একদিন সানীর বাসায় মৌসুমীকে নিয়ে হাজির তার নানি। তিনি সোজা সানীর মাকে বললেন, ‘এক্ষুণি কাজী ডাকেন, আজই ওদের বিয়ে দেব।’ কাজী ডেকে সেদিনই হলো বিয়ে। দিনটা ছিল ১৯৯৫ সালে ৪ মার্চ। এই বিয়ের খবর কেউ জানতে পারেনি সেদিন। বিষয়টি জানাজানি হয় মৌসুমী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর। এই দম্পতির প্রথম সন্তান ফারদীন গর্ভে আসার চার মাস পর বিয়ের অনুষ্ঠান করেন তারা। ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট রাওয়া ক্লাবে ঘটা করে হয়েছিল ওমর সানী-মৌসুমীর বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান। সে কারণে ২ আহস্টই এই তারকা দম্পতির বিবাহবার্ষিকী হিসেবে ধরা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com